বিজ্ঞাপন

হিলিতে বোরো বীজতলায় শীতের থাবা, বিপাকে কৃষক

January 20, 2019 | 6:37 am

।। সোহেল রানা, লোকাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর (হিলি) : শষ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। এখানকার কৃষকরা এখন বোরো আবাদের দিন গুনছেন। মাঘের শুরুতে জমিতে বোরো চারা লাগানোর কথা থাকলেও হঠাৎ করে হিলিতে বেশকিছু বোরো চারার বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি। এ কারণে অনেক বীজতলায় মরতে শুরু করছে বোরো ধানের চারা।

এরই মধ্যে জেলার হাকিমপুর উপজেলায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলার বোরো চারায় লালচে রঙ ও পচন ধরতে শুরু করেছে। এতে আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তার পরার্মশে বীজতলায় বাড়তি পানি ও বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলেও মিলছে না সুফল।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাকিমপুরের বেশ কয়েকটি মাঠে বীজতলার বোরো চারার পাতা লালচে রঙে ধারণ করেছে। এছাড়াও বেশকিছু জমির চারাতে পচন ধরতে শুরু করেছে। আর এসব চারা বাঁচিয়ে রাখতে প্রাণান্ত পরিশ্রম করছেন কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার কৃষক শ্রী নিরেন, ইয়াকুব আলী ও সালাম জানান, ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বোরো চারা লাল হয়ে যাচ্ছে, পচারি ধরে চারা মরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শীতজনিত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও পচন ঠেকানো যাচ্ছে না। এসব বীজতলার চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্ত না করতে পারলে এ মৌসুমে বোরো আবাদে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা।

কৃষকরা বলেন, চারা বাঁচাতে না পারলে বোরো চাষ করে তেমন ফসল ঘরে তুলতে পারব না। কৃষি অফিস আমাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে, পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা নাজনীন সারাবাংলাকে বলেন, উপজেলার দুয়েক জায়গায় কোল্ড ইনজুরি দেখা দিয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে আমরা সার্বক্ষণিক তাদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছি।

এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এ পরিস্থিতিতে বীজতলায় বেশি বেশি পানি দিতে হয়। কোল্ড ইনজুরির মাত্র অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হয়। আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, শীতের প্রকোপ একটু কমলেই এই সমস্যা আর থাকবে না। আর বোরোর সার্বিক আবাদের লক্ষ্যমাত্রাতেও তেমন প্রভাব পড়বে না।

স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। সে অনুযায়ী বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬৬ হেক্টর জমি। শামীমা নাজনীন বলছেন, সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর/এসএন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন