বিজ্ঞাপন

২২ বছরের মধ্যে দেশে গ্রামের চেয়ে নগরের জনসংখ্যা বেশি হবে

September 23, 2018 | 1:02 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : বাংলাদেশের নগরায়নের আনুপাতিক হার অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশে নগরে বাসকারীর সংখ্যা গ্রামীণ জনসংখ্যার চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘স্বাস্থ্যনীতি সংলাপ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান থেকে একথা জানানো হয়েছে। সংলাপে উঠে আসে যে, বর্তমান শতাব্দীর অন্যতম প্রধান একটি কারণ হলো নগরায়ন, যা স্বাস্থ্যখাতের উপর প্রভাব ফেলছে। ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা পৃথিবীর ৬৮ ভাগের বেশি মানুষ নগরে বসবাস করবে বলেও মনে করা হয়।

আইসিডিডিআরবির আয়োজনে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তেন এই সংলাপে অংশ নেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিদ, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, সরকারের প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বলা হয়, নগরায়ন বর্তমান শতাব্দীর অন্যতম প্রধান একটি কারণ যা স্বাস্থ্যখাতের উপর প্রভাব ফেলছে। ২০৫০ সালের মধ্যে সমগ্র পৃথিবীর ৬৮ ভাগের বেশি মানুষ নগরে বসবাস করবে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে যে অনুপাতিক হারে নগরায়ন হচ্ছে সে অনুপাতে চলতে থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নগরে বসবাসকারী জনসংখ্যা গ্রামের মানুষের চাইতেও বেশি হবে এবং তা নগর স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক হারে প্রভাব ফেলবে। নগর স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত প্রভাবকগুলো খুব জটিল উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, নগরের সুশাসন, জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, সেবা এবং জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

স্বাস্থ্যনীতি সংলাপের এই আলোচনায়, বাংলাদেশের নগর স্বাস্থ্য ও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো উঠে আসে। সেইসঙ্গে এসবের বাস্তবধর্মী সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়। এই সংলাপের মাধ্যমে উঠে আসা সুপারিশমালা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়।

সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন ড. মুশতাক হোসেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর। অনুষ্ঠানটি  সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

বিজ্ঞাপন

সংলাপের মূল বক্তব্যে আইসিডিডিআরবির ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ প্রোগ্রাম এর ডেপুটি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ও প্রতিষ্ঠানে সহকারী বিজ্ঞানী ড. সোহানা শফিক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান দ্রুত নগরায়ন এবং এ সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকি, নগর স্বাস্থ্যে বিদ্যমান বৈষম্য এবং নগরে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে কথা বলেন। তাঁরা নগর এলাকায় দরিদ্র জনগণের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং স্বাস্থ্যখাতে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দেন।

সমাপনী বক্তব্যে “স্বাস্থ্যনীতি সংলাপ” এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. টি এ চৌধুরী নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত নেতৃত্বের মাধ্যমে অন্যান্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ও সকল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নির্দিষ্টকরণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেন। তিনি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সুনির্দিষ্ট আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব করেন।

সংলাপে অংশগ্রহনকারী স্বাস্থ্যবিদ, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, সরকারি প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের সদস্যরা তাঁদের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করেন।

সারাবাংলা/জেএ/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন