Sunday 15 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কে খুন করল তারেককে?


১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১২:০০ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১২:২১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কক্সবাজার: কক্সবাজারের পশ্চিম বাহারছড়ার বাসিন্দা মো. তারেক (২১)। গত শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট সংলগ্ন বিআইএএম ল্যাবরেটরি স্কুলের পেছনে ঝাউবাগানে গাছের সঙ্গে তারেকের মরদেহ বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মারাত্মকভাবে জখম করে তাকে খুন করা হয়। তারেক হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও হত্যার রহস্য সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ। যদিও দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে নিহত তারেকের বাবা আমিরুল ইসলাম ও তারেকের স্ত্রী সাগরিকা অভিযোগ করেছেন, তারা যাকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করছেন তিনি একই এলাকার নাছিরের ছেলে জাহাঙ্গীর।

বিজ্ঞাপন

সন্দেহের কারণ হিসেবে আমিরুল ইসলাম জানান, যে রাতে তারেক খুন হয় সেই রাতেই তাকে চা খাওয়ানোর কথা বলে জাহাঙ্গীর ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে যখন ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে তারেকের লাশ উদ্ধার হয়; তখন সাগরিকা স্বামী’র ফোন নাম্বারে ফোন করেন। তবে ফোন রিসিভ করেন জাহাঙ্গীর।

মোবাইলে সাগরিকা ফোনের অপর প্রান্তে কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর তার নাম বলেন। তখন সাগরিকা প্রশ্ন করেন- তারেকের নাম্বার কেন আপনার কাছে? তখন জাহাঙ্গীর জানান ভুলে করে তার কাছে চলে এসেছে।

সাগরিকা আবার জানতে চান, আপনি কি জানেন তারেক মারা গেছেন? এর উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তারেক মারা গেলে আমি কি করতাম। পুলিশ আমার কিছু করতে পারবেনা’।

এই বলে জাহাঙ্গীর মোবাইল বন্ধ করে দেন। আর সেই থেকে ওই ফোন নাম্বার বন্ধ রয়েছে। জাহাঙ্গীরও এলাকা থেকে পলাতক। আর তাই নিহতের পরিবার ধারণা করছেন তারককে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা খুন করেছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির জানান, হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদেরও টার্গেট জাহাঙ্গীর।

এই হত্যাকাণ্ডের পরদিন রোববার (১৩ অক্টোবর) পশ্চিম বাহারছড়ার আবুল হোসেনের ছেলে মিজান প্রকাশ শিয়াল্লা (২৮) ও বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) নতুন বাহার ছড়ার আবুল কাশেমের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০) নামে দুই জনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন মো. শাহজাহান কবির।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, প্রকাশ শিয়াল্লাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার লুঙ্গিতে লেগে থাকা রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার হত্যাকাণ্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর