করোনাভাইরাসের মহামারিতে স্থগিত হয়ে আছে ইউরোপিয়ান ফুটবল। আর তাতেই বড় ক্ষতির সম্মুখীন ফুটবল ক্লাবগুলো। আর ক্লাবের ক্ষতির পরিমাণ কমাতে তাই ফুটবলার থেকে শুরু করে ক্লাবের অন্যান্য কর্মচারীদেরও বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ক্লাবগুলো। এর আগে ক্লাবের কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লিভারপুল। এরপর ক্লাবের সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণের সমালোচনার মুখে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে অলরেডরা। এবার লিভারপুলের পথেই হাটতে বাধ্য হচ্ছে টটেনহ্যাম হটস্পার্স।
গেল ৩১ মার্চ একটি বিবৃতিতে স্পার্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘তাদের ক্লাবের ৫৫০ জন ফুটবলার ব্যতীত কর্মচারী আছেন। যাদের চাকরি বাঁচানোর উদ্দেশে ২০ শতাংশ বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
আর এমন ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়ে স্পার্স। অবশেষে সেই ঘোষণা থেকে সরে এসেছে টটেনহ্যাম। সোমবার (১৩ এপ্রিল) আরো একটি বিবৃতি দিয়ে স্পার্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘স্পার্সের কর্মচারীরা এপ্রিল এবং মে মাসের সম্পূর্ণ বেতনই পাবেন।’ সেই সঙ্গে বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, কর্মচারীদের সম্পূর্ণ বেতন প্রদানের জন্য কেবল মাত্র বোর্ডের সদস্যদের বেতন কমানো হবে।
টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সমর্থক গোষ্ঠী ‘টটেনহ্যাম হটস্পার্স সাপোর্টার্স ট্রাস্ট (টিএইচএসটি)’ ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন যে ক্লাবের কর্মচারীদের বেতন কাটার বিষটি যেন পুনর্বিবেচনা করে। এর কারণ হিসেবে তারা জানায় ক্লাবের সমর্থকরা মনে করছে এমন সিদ্ধান্তে ক্লাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই তারা ক্লাবকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করে।
অবশেষে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে স্পার্স কর্তৃপক্ষ। তাই তো বিবৃতিতে স্পার্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আমরা এখনো জানি না যে ঠিক কবে নাগাদ আবারো ফুটবল মাঠে গড়াবে। আর এমন পরিস্থিতিতে আমরা সব কিছু নজরদারীতে রাখব। এছাড়াও আমরা আলোচনা করে দেখলাম যে ক্লাবের সমর্থকরা আমাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। তাই কর্মচারীদের ছুটিতে পাঠানোর ব্যাপারে আমরা পুনর্বিবেচনা করেছি।’
স্পার্স প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল লেভি বলেন, ‘আমরা অনেক অনুতপ্ত বোধ করছি। আমরা আসলে উদ্বিগ্ন হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে আমরা বিশ্বাস করি সামনের দিনগুলোতে আমাদের সমর্থকরা আমাদের ভালো কাজগুলোকে দেখতে পারবে। আমরা তাদের গর্বিতবোধ করাতে চাই।’