ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা রেখে ফিরে গেলেন আবরারের বাবা
২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৩:১৪
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় শুনতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় এসেছিলেন তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ। রায় ঘোষণা করা হয়নি। কুষ্টিয়া ফিরে গেলেন শূন্য হাতেই। আদালতে রেখে গেলেন ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা।
রোববার (২৮ নভেম্বর) আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। তবে এদিন রায় ঘোষণা করেনি আদালত। আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন করে রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, রায় প্রস্তুত করতে পারেনি বলে রায় প্রকাশ করেনি আদালত, এটা আপনারা শুনেছেন। আমরা আশা করবো, আগামী ৮ তারিখ যেন এই রায় প্রকাশ হয় এবং যে সমস্ত আসামি আছে তাদের সকলের যেন শাস্তি নিশ্চিত হয়।
আদালতের ওপর আস্থা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।
সেই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের নামে যেন আর কাউকে হত্যা করা না হয়। রায়টা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।
এর আগে সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও উভয়পক্ষের কৌঁসুলিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৪ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করে দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরমধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এএম