Wednesday 09 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ডিজিটাল অর্থনীতি ও জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা প্রধান চ্যালেঞ্জ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:২৭

ঢাকা: বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রধান দুই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এর একটি ডিজিটাল অর্থনীতি এবং অন্যটি হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা। এই পরিস্থিতি উত্তরণে দক্ষ জনশক্তি, শিক্ষার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারসহ নানা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্ব ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বাংলাদেশের আর্থিক খাত সংস্কারে প্রস্তাব দিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার, কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক এবং ঢাকা অফিসের যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বাংলাদেশকে দেওয়া বিশ্বব্যাংকের ঋণ মওকুফ ও সুদ হার কমানোর সুযোগ নেই। যদিও বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিশ্বের ৬০টি দেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি এখন।

বিশ্ব ব্যাংকের এমডি বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন, জলবায়ু মোকাবিলা ও রফতানি সম্প্রসারণ বাংলাদেশের এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’ অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুনে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাসে ২০২৩ সালে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হবে বলে অনুমান করে। কিন্তু সম্প্রতি সেখান থেকে নামিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে সর্বশেষ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি ১ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেলে বাংলাদেশও প্রভাব পড়বে।’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শরণার্থীর সংখ্যা উদ্বেগ জনকহারে বাড়ছে। সর্বশেষ ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে ৮০ লাখ শরণার্থী হয়েছে। তবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের প্রত্যেকের মনে প্রত্যাশা নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার। কিন্তু মিয়ানমারে এখন কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে। এই সময়ে ফেরত দেওয়া কঠিন হবে। তবে নিজ দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন না করা বিশ্বব্যাংকের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল কিনা? জানতে চাইলে অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, ‘আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী দিনগুলোতে একইভাবে সবধরনের সহায়তা থাকবে। গত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাংক ৩৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ছাড় করা হয়েছে ২৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।’

প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছর অংশীদারিত্ব পূর্তি অনুষ্ঠান দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রথম পর্বে মূল অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দ্বিতীয় পর্বে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা, বেসরকারি উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা।

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

জলবায়ু টপ নিউজ ডিজিটাল অর্থনীতি বিশ্বব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর