ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন, যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধুলা ও শিল্পকারখানার নির্গমনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরের বায়ুমান দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। বহু বছর ধরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে বাতাসে কিছুটা স্বস্তি এলেও আজকের পরিস্থিতি আবারও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পরিমাপক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার–এর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ১৫৫, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে পড়ে।
অন্যদিকে, দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে শীর্ষে রয়েছে — সেখানে একিউআই স্কোর ৫৫৩, যা নাগরিকদের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। লাহোর (২৬৮) দ্বিতীয় ও কলকাতা (১৯৪) তৃতীয় স্থানে আছে।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে ধরা হয়,
৫১–১০০ ‘মাঝারি’,
১০১–১৫০ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’,
১৫১–২০০ ‘অস্বাস্থ্যকর’,
২০১–৩০০ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’,
এবং ৩০১–৪০০ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বায়ু হিসেবে বিবেচিত হয়।
দূষণের মাত্রা বেড়ে গেলে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের ঘরের বাইরে কার্যক্রম সীমিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একিউআই নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি উপাদানের ভিত্তিতে—
বস্তুকণা (PM₂.₅ ও PM₁₀)
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂)
কার্বন মনো-অক্সাইড (CO)
সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂)
ওজোন (O₃)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। দূষিত বায়ু থেকে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, ক্রনিক শ্বাসরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে মৃত্যুহার বাড়ছে।
ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সকাল ও সন্ধ্যায় বাইরের কার্যক্রম সীমিত রাখা, মাস্ক ব্যবহার, এবং ঘরের ভেতরে উদ্ভিদ বা এয়ার পিউরিফায়ার রাখার।