মুক্তিযুদ্ধে ডাকটিকেট ও প্রামাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতার ডাক’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৩৯
রবিবার (৯ই ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রামাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতার ডাক’র সেন্সর সার্টিফিকেট প্রদান ও প্রদর্শনী। চল্লিশ মিনিট দৈর্ঘ্যের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ডাকটিকেটের ভূমিকা নিয়ে নাসরিন ইসলাম পরিচালিত এবং প্রযোজিত নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতার ডাক’।
এই প্রদর্শনী এবং সেন্সর সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব শম্পা রেজা, নিউইয়র্কের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ফাহিম রেজা নূর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’র সচিব মোহাম্মদ মোমিনুল হক এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগ’র মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র।
চলচ্চিত্র নির্মাতা জনাব নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘১৯৭১ সালের জুলাই মাসে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম স্মারক ডাকটিকেটের প্রকাশ ও প্রচারের ঘটনাটি নাসরিন ইসলামের ‘স্বাধীনতার ডাক’ প্রামাণ্যচিত্রে স্বার্থকভাবে রূপায়িত হয়েছে’।
ছবিটির বিষয় ও গুণগতমান সম্পর্কে প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনা প্রবাহের সাথে দূর্লভ ফুটেজ সংযোজন ছবিটিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি দলিল বলা যায়। নাসরিন ইসলামের এই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে হচ্ছে, শত শহীদদের রক্ত সত্যিই বৃথা যায়নি, নতুন প্রজন্ম দায়িত্ব নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে’।
নির্মাতা নাসরিন ইসলাম বললেন, ‘এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মানের পেছনে যে বিষয়টি তাকে উদ্বুদ্ধ করেছে, প্রথমটি হল মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পাওয়ার আগেই একটি দেশের সার্বোভৌমত্বের প্রতীক স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ এবং প্রচারে বাঙালির এই দুঃসাহসিক পদক্ষেপ এবং প্রচারে বিদেশী বন্ধুদের উদার সহযোগিতা’। প্রামাণ্যচিত্রটি বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শণীর বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’র সচিব মোহাম্মদ মোমিনুল হক নির্মাতা নাসরিন ইসলামের হাতে প্রামাণ্যচিত্রটির ছাড়পত্র তুলে দেন।