দেশ ও ঐতিহ্যের গল্প নিয়ে ‘জামদানি’
২৮ জুন ২০১৮ ১৪:৩৭
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
এই তো কদিন আগেই উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর। সেই খুশিতে ধুম পড়েছিল নতুন জামা কেনার। এই ক্রেতাদের মধ্যে যারা শাড়ি কিনেছেন, তাদের অনেকের পরিকল্পনাতেই ছিল ভালো-দামি একটা জামদানি শাড়ি কেনার।
কিংবা, উচ্চ বিত্তদের সেলফ ভর্তি শাড়ির সংগ্রহ খুঁজলে নিশ্চিতভাবে পাওয়া যাবে জামদানি শাড়ি। দেশের সবখানেই, সব শ্রেণীর মানুষের কাছেই কদর রয়েছে জামদানির। কিন্তু এই শাড়ির কারিগর যারা, তাদের ঘরের নারীরাই পরতে পারেন না জামদানি শাড়ি।
এরকম বেশ কিছু বিষয় চিন্তায় ফেলে দেয় অনিরুদ্ধ রাসেলকে। আর তারপর থেকেই তিনি কাজে লেগে যান। গত ছয়মাস ধরে রাসেলসহ কয়েকজন মিলে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা চালাচ্ছেন জামদানির বিভিন্ন বিষয়ে। আর গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে তৈরি হচ্ছে সিনেমার চিত্রনাট্য।
অনিরুদ্ধ রাসেল বেশ মজার কিছু তথ্য দিলেন। তিনি জানালেন ‘জামদানি’ কিন্তু শাড়ির নাম না। ‘জামদানি’ হলো নকশার নাম। বিশেষ সেই নকশা যে শাড়িতে থাকে সেটি হয়ে ওঠে জামদানি শাড়ি।
এমন আরও অনেক তথ্য দিয়েই সিনেমার চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন রাসেল। যেখানে আরও উঠে এসেছে জামদানি নকশা ও শাড়ি প্রস্তুতকারীদের জীবনযাপন, দুঃখ-হাসি-কান্না, সমস্যা-সম্ভাবনা। আর এভাবেই তৈরি হবে ছবি, যার নাম ‘জামদানি’। পরিচালনা করবেন অনিরুদ্ধ রাসেল।
‘জামদানি নকশাটা কিন্তু আমাদের মানে বাংলাদেশের একটা স্বতন্ত্র পারিচয়। জামদানি শাড়ির কথা শুনলেই দেখবেন সবার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে। জামদানি শাড়ির কথা বলতে সবাই গর্ব বোধ করে। এমন কাউকে দেখবেন না যে জামদানি শাড়ির নকশা পছন্দ করেন না। বিশেষ এই নকশার শারী বিদেশেও জনপ্রিয় এবং এই নকশা ও নকশার পোশাক অর্থাৎ শাড়িটি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে অনেকভাবেই। কিন্তু এই শাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবস্থা দেখেন। কষ্ট আর দুর্দশা ছাড়া তাদের জীবনে কিছু নেই।’ কথাগুলো বলতে বলতে বেশ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লেন পরিচালক অনিরুদ্ধ রাসেল।
এই নকশা ও শাড়ির সঙ্গে যে বড় পরিমাণের অর্থও জড়িত, তাও বোঝা গেল রাসেলের কথা শুনে। তিনি জানালেন, বড় বড় শহরের মার্কেটে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন, একেকটি জামদানি শাড়ির কত দাম। কিন্তু প্রস্তুতকারীদের ভাগ্য শুরুতে যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে।
তবে সিনেমায় এই বিষয়গুলোরে সঙ্গে আরও অনেক কিছুই থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক রাসেল। এরই মধ্যে অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত হয়েছে। পাওয়া গেছে প্রযোজকও। প্রাথমিকভাবে আনিসুর রহমান মিলন ও অভিনেত্রী শিবা আলী খানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে শুধু। আর ছবিটি প্রযোজনা করছে ভার্টেক্স মিডিয়া। পরিচালক জানালেন চিত্রনাট্য শেষ, আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই শুটিং শুরু করবেন তিনি।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম