ঈদ মানেই নতুন নাটকের উৎসব। ইউটিউব থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম—প্রতিটি জায়গায় যেন প্রতিযোগিতা চলে দর্শকদের হৃদয় কেড়ে নেওয়ার। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এই ভিড়ের মধ্যেই আলাদা আলোচনায় উঠে এসেছে একক নাটক ‘আশিকি’, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও নাজনীন নীহা।
নাটকটি মুক্তির পরপরই বাংলাদেশে ইউটিউবের ‘নাও’ ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থান দখল করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। কেউ বলছেন ‘পুরোপুরি ইমোশনাল রোলারকোস্টার’, আবার কেউ লিখছেন, ‘জোভান এবার নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন’।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র আশিক—একজন সহজ-সরল কলেজপড়ুয়া তরুণ। যে সবার থেকে একটু ভিন্ন, হয়তো একটু চাপা স্বভাবেরও। একদিন সাহস করে সে ক্যাম্পাসের জনপ্রিয় ধনী মেয়ে জেসিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু উত্তরে সে যা পায় তা ভালোবাসা নয়—বরং তীব্র অপমান। সকলের সামনে উপহাস আর অবজ্ঞা যেন জীবনের মোড়টাই ঘুরিয়ে দেয় আশিকের।
এই অপমানই আশিকের ভেতরের আগুন জ্বালিয়ে তোলে। সে একসময় নিজের জীবন পাল্টে রকস্টার হয়ে ওঠে। গান, জনপ্রিয়তা আর আত্মবিশ্বাস—সবকিছু নিয়েই সে ফিরে আসে নতুন রূপে। কিন্তু পুরনো সেই প্রেম? অপমানের স্মৃতি? সব কি ভুলে যেতে পারে?
জোভান বরাবরই তার সংবেদনশীল অভিনয়ের জন্য পরিচিত, কিন্তু ‘আশিকি’-তে তিনি যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন। একজন সংবেদনশীল তরুণ থেকে আত্মপ্রত্যয়ী শিল্পী হয়ে ওঠার রূপান্তর তিনি পর্দায় দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অন্যদিকে জেসিয়ার চরিত্রে নাজনীন নীহাও চমৎকার অভিনয় করেছেন—প্রথমে অহংকারী, পরে যেন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া এক তরুণী।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন ইমরোজ শাওন। তার পরিচালনায় একদিকে যেমন রয়েছে গল্প বলার সহজ ও সাবলীল ভঙ্গি, অন্যদিকে দারুণ সিনেম্যাটোগ্রাফি আর আবহ সংগীত। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ও রকস্টার রূপে আশিকের গানের দৃশ্যগুলো দর্শকদের আলাদা করে টেনেছে।
নাটকটির কমেন্ট সেকশন খুললেই বোঝা যায় দর্শকদের ভালোবাসার পরিমাণ। কেউ লিখেছেন, ‘শেষ দৃশ্যে চোখে পানি চলে এলো’, আবার কেউ বলেছেন, ‘এমন গল্পগুলোই তরুণদের অনুপ্রাণিত করে’।