একসময় ঢালিউডে যাকে ঘিরে বক্স অফিস কাঁপত, আজ তিনিই আলোচনায় এলেন একটি গুজবের সূত্র ধরে। হ্যাঁ, বলছি মাহিয়া মাহি-র কথা। হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এক বিভ্রান্তিকর খবর— ‘বাংলাদেশি অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!’ এমন খবর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। অথচ সত্যিকারের বাস্তবতা একেবারে বিপরীত।
যে সময়টিতে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন খবরটি সত্যি, সেই সময়ে মাহি নিউইয়র্ক থেকে নিজের ফেসবুকে লিখলেন এক লাইন, যেন বজ্রাঘাতের মতো ঘুরে দাঁড়ানো- ‘আমি আছি, মরিনাই রে ভাই!’
এই সহজ অথচ তীক্ষ্ণ বার্তায় মাহি যেন শুধু একটি গুজবই খণ্ডন করলেন না, বরং জানিয়ে দিলেন— তিনি এখনো বেঁচে আছেন, লড়ছেন এবং ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন।
শেষবার বড় পর্দায় ‘রাজকুমার’ ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা যায় মাহিকে। তার আগের উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ‘বুবুজান’— যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন। তবে সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় এক বছর ধরে তাকে পর্দায় দেখা যায়নি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সরব উপস্থিতি এবং জীবনসংগ্রামের নানা দিক ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে যাওয়ায় মাহি আলোচনার বাইরে যাননি কখনোই। অনেকের কাছেই তিনি শুধু একজন নায়িকা নন, বরং একজন সংগ্রামী নারী, যিনি নানা বাধা পেরিয়ে নিজের অবস্থান গড়েছেন।
সিনেমার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় হন মাহি। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। যদিও বিজয়ী হতে পারেননি, তবে তার সাহসিকতা ও সরব ভূমিকা প্রশংসিত হয়। নির্বাচনের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন- অভিনয়ে আবার নিয়মিত হবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন কোনো বড় প্রজেক্টে দেখা যায়নি তাকে।
২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে মাহির। সেই ছবিতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, এই মেয়েটি থাকবেন অনেক দিন। তার স্টাইল, অভিনয়, ডায়লগ ডেলিভারি- সবকিছুতে ছিল আলাদা এক আবেদন। একের পর এক সিনেমায় সাফল্য এনে দিয়েছিলেন- ‘অগ্নি’, ‘অনেক দামে কেনা’, ‘তুই শুধু আমার’, ‘রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট’, ‘পোড়ামন’- আরও বহু নাম।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই আলোচনার ঢেউ কি মাহিকে ফিরিয়ে আনবে সিনেমার আলোয়? তার এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু তীব্র পোস্ট যেন আভাস দেয়, এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি।