২০০৬ সাল। এক আইকনিক সিনেমা এসে যেন স্টাইল, উচ্চাশা আর নারীর নেতৃত্বের সংজ্ঞা এক ঝটকায় বদলে দিয়েছিল। মেরিল স্ট্রিপের ঠাণ্ডা, কঠোর অথচ অদম্য ‘মিরান্ডা প্রিস্টলি’ যেন হয়ে উঠেছিল সব নারীর এক অলিখিত রোল মডেল—যিনি দয়া দেখান না, সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক ১৯ বছর পর, সেই চরিত্র আবার ফিরছে। হ্যাঁ, ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’ আবার আসছে পর্দায়!
ডিজনির ইনস্টাগ্রাম ঘোষণা দিয়েছে—‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা ২’-এর শুটিং শুরু হচ্ছে খুব শিগগিরই। সাথে একজোড়া হাই-হিল জুতার পোস্ট, যেন বুঝিয়ে দিল— মিরান্ডা আবার হাঁটছে রানেরা ম্যাগাজিনের করিডোরে, আবার কাঁপাতে আসছে ফ্যাশনের রাজ্য।
এমিলি ব্লান্ট, অ্যান হ্যাথাওয়ে আর মেরিল স্ট্রিপ—তিন জনেই ফিরছেন তাদের আগের চরিত্রে। এমিলির কড়া মুখ আর তীক্ষ্ণ চোখ, অ্যানের নতুন যুগে সাংবাদিকতা, আর মেরিল স্ট্রিপের অসাধারণ কণ্ঠে ছোড়া একেকটা সংলাপ—সব আবার জমে উঠবে নতুন গল্পে।
এবারের সিক্যুয়েলে যোগ হচ্ছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা কেনেথ ব্রানাগ। তিনি হবেন মিরান্ডা প্রিস্টলির স্বামী। কী হবে তাদের সম্পর্ক? ঠাণ্ডা যুদ্ধ, না নরম অভিমান—এ নিয়ে এখনই গুঞ্জন শুরু।
তাছাড়া প্রথম কিস্তির প্রিয় চরিত্র নাইজেলকেও (স্ট্যানলি টুসি) দেখা যাবে এই পর্বে। পুরনো স্টাইল আর নতুন সময়ের সংঘাতে তার ভূমিকা দেখার মতো হবে।
একটা গল্প শুধু পোশাক বা গ্ল্যামারের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকে না। ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’ ছিল এমন এক চলচ্চিত্র, যা নারী নেতৃত্ব, কর্মক্ষেত্রে নারীর সংগ্রাম আর আত্মপরিচয়ের প্রশ্নকে শৈল্পিকভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে যাদের বয়স ছিল ২০–৩০, তারা আজকের কর্মজীবী নারী। তাদের কাছে মিরান্ডা প্রিস্টলি এখনো এক আদর্শ, হয়তো ভয়ঙ্কর কিন্তু আত্মবিশ্বাসী এক প্রতিচ্ছবি।
সিনেমার ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস। কেউ লিখেছেন, ‘আমার শৈশবের সিনেমা ফিরে আসছে!’— আবার কেউ বলছেন, ‘যতবারই দেখি, ততবারই নতুন করে মুগ্ধ হই। দ্বিতীয় কিস্তির জন্য অপেক্ষা সইছে না!’
‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা ২’ শুধু একটি সিক্যুয়েল নয়—এ এক প্রজন্মের ফিরে দেখা, একধরনের আত্মজিজ্ঞাসা, আর সময়ের বদলে যাওয়া রুচি, চিন্তা ও নারীর অবস্থানের এক ফ্যাশনেবল প্রতিবেদন। নতুন মিরান্ডা, নতুন অ্যান্ডি, আর পুরনো সেই কড়া অথচ টানটান জাদু—সব মিলে সিনেমাপ্রেমীদের জন্য এটি হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের অন্যতম বড় চমক।