আলোচিত, সমালোচিত আর প্রলোভনে ভরা এক শিল্প ছিল তার পেশা—জাপানের প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র জগতে রায়ে লিল ছিলেন পরিচিত একটি নাম। কিন্তু এখন সেই পরিচয় বদলে গেছে। এখন তিনি নূরে ইস্তেকবাল— ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে শুরু করেছেন জীবনের এক নতুন অধ্যায়। আর এই সিদ্ধান্ত কেবল পেশা বা ধর্ম পরিবর্তনের নয়, বরং আত্মা খোঁজার এক গভীর যাত্রার প্রতিচ্ছবি।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তারকাদের ইসলাম গ্রহণের গল্প নতুন নয়। কেউ যুদ্ধের বিভীষিকায়, কেউবা আত্মশুদ্ধির সন্ধানে এসে ধর্মের আলোর স্পর্শ পান। রায়ে লিলও তেমনই এক ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে খুঁজে পেয়েছেন মানসিক প্রশান্তির সন্ধান।
লিল জানান, ‘বহু যশ, খ্যাতি ছিল—তবুও ভেতরে শান্তি ছিল না।’ জীবনের এই অন্তঃস্থ শুন্যতা থেকেই ২০২৪ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। নতুন নাম রাখেন নূরে ইস্তেকবাল, যার অর্থ ভবিষ্যতের আলো। নামেই যেন তার আত্মপরিচয়ের নতুন গল্প লেখা হয়ে গেল।

লিল জানান, ‘বহু যশ, খ্যাতি ছিল—তবুও ভেতরে শান্তি ছিল না।’ জীবনের এই অন্তঃস্থ শুন্যতা থেকেই ২০২৪ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি…
ধর্ম গ্রহণের পর তার জীবনদর্শন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন—আর কখনও পর্নোফিল্মে অভিনয় করবেন না। তার ভাষায়, ‘এখন আমি এমন পথ বেছে নিয়েছি যেখানে আত্মার শান্তি আছে, সম্মান আছে, দায়িত্ব আছে।’
এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় থেকেই তার মধ্যে পরিবর্তনের বীজ বোনা শুরু হয়। সেই সফরে ইসলাম, মুসলিমদের জীবনযাপন, আচার-আচরণ তার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এই মনোজাগতিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে।
নূরের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে কেউ কেউ কটাক্ষ করছেন—যেন এটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার নতুন কৌশল মাত্র। কিন্তু তীব্র ভাষায় জবাব দিয়েছেন তিনি, ‘আমি জান্নাতে যাব কি না, আমার পাপ ক্ষমাযোগ্য কি না, তা জানার দায় আপনাদের নয়। আমি আমার রবের সঙ্গে আছি, আপনারা আপনাদের নিয়ে থাকুন।’
এই বক্তব্যে উঠে আসে তার আত্মবিশ্বাস, নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকা আর সমাজের কটাক্ষ অগ্রাহ্য করার সাহস।