‘রেজাল্ট একটা কাগজের টুকরা, কিন্তু তুমি বাবা-মা’র কলিজা।‘— এসএসসি ফলাফল প্রকাশের দিনে ছোট পর্দার অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের এই বাক্যটি যেন অসংখ্য অভিভাবকের হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। গড় পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। এই পরিসংখ্যান হয়তো কারও মুখে হাসি এনে দিয়েছে, আবার কারও চোখে এনেছে অশ্রু। কিন্তু রেজাল্ট কি সত্যিই জীবনের পরিমাপক?
জোভানের মতো অনেকেই মনে করেন, ফলাফল কেবল একটা সংখ্যা, একটি সার্টিফিকেট। অথচ একজন সন্তান তার বাবা-মায়ের জন্য আত্মার অংশ। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘রেজাল্ট মাত্র একটা কাগজের টুকরা, কিন্তু তুমি মা-বাবার কলিজার টুকরা।‘
এই কথার সঙ্গে একমত হয়েছেন অনেকেই। নেটিজেন সনিয়া আক্তার মন্তব্য করেছেন, ‘সহমত, খুবই সুন্দর কথা বলেছেন।‘ আরও একজন লিখেছেন, ‘এরকম কত সার্টিফিকেট ঘরে পরে আছে, কোনো কাজে আসেনি।‘
এই কথাগুলো যেন আমাদের সমাজের এক বাস্তবতা স্মরণ করিয়ে দেয়—আমরা এখনও ‘গ্রেড’ দিয়ে ভালো-মন্দ, সম্ভাবনাময়তা বা ব্যর্থতা মেপে ফেলি। অথচ একেকজন শিশুর বেড়ে ওঠা, শেখার গতি, স্বপ্ন এবং প্রতিভা একেক রকম। ফলাফলে কিছুটা খারাপ করা মানে এই নয় যে সে জীবনে ভালো করবে না।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। ফলাফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে। হয়তো কেউ কাঙ্ক্ষিত গ্রেড পায়নি, হয়তো অনেকেই চেয়েছিল তারচেয়ে বেশি। কিন্তু এই ফলাফল জীবনের সবকিছু নয়।
আর তাই জোভানের মন্তব্য হচ্ছে, সময়ের পরীক্ষায় পাশ করার নামই জীবন। আমরা যদি সন্তানকে ভালোবাসি, তার পাশে থাকি, তাকে তার নিজস্ব গতিতে এগোতে দিই— তবেই সে জীবন জয় করবে।