Wednesday 23 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ – আগুনের ছায়ায় এক নারীর উত্থান

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
২৩ জুলাই ২০২৫ ১৯:০৫

হলিউডের অন্যতম আলোচিত ফ্র্যাঞ্চাইজি অ্যাভাটার যখন তার তৃতীয় কিস্তি নিয়ে আবারও রূপালি পর্দায় ফিরতে চলেছে, তখন শুধুই ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বা প্যান্ডোরার সৌন্দর্য নয়—আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে এক রহস্যময় ও আগ্রাসী নারীচরিত্র: ভারাং।

১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাওয়া ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ ইতিমধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এর ফার্স্টলুক পোস্টারে। আগ্নেয়গিরির পটভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এক তেজস্বী নারীযোদ্ধা— এই দৃশ্য জানিয়ে দেয়, এবার প্যান্ডোরার আগুন ঝরা গল্প শুরু হতে চলেছে।

এই পর্বের মূল ভিলেন ‘ভারাং’, যার কণ্ঠে প্রাণ দিয়েছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ওনা চ্যাপলিন। ‘গেম অব থ্রোনস’-এ তালিসার চরিত্রে পরিচিত চ্যাপলিন এবার হাজির হচ্ছেন এক আগ্নেয় অঞ্চলের গোত্রনেত্রী রূপে। ‘অ্যাশ পিপল’ নামে পরিচিত এই নাভি জাতি বাস করে আগুন ও ধ্বংসের সীমান্তে— এক ভিন্ন দেবীর উপাসক।

বিজ্ঞাপন

ভারাং সম্পর্কে পরিচালক জেমস ক্যামেরনের ভাষ্য, “সে এমন এক নেত্রী, যে নিজ জাতির জন্য সবকিছু করতে পারে—কিছু কিছু কাজ আমাদের চোখে খারাপ মনে হলেও সেটিই তার ন্যায়।” এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু চরিত্রকে নয়, গোটা ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই নিয়ে যাচ্ছে এক নতুন বয়ানে—ভালো-খারাপের সরল রেখা ভেঙে চরিত্রের জটিলতাকে সামনে এনে।

নতুন ট্রেলারে দেখা যায়, উত্তপ্ত ধূসর ভূমির মধ্যে ভারাং বন্দি করে রাখছে জ্যাক এবং নেতিরি-র কন্যা কিরিকে। সে বলে ওঠে, “তোমার দেবীর এখানে কোনো আধিপত্য নেই।” এই সংলাপেই স্পষ্ট, ধর্ম, সংস্কৃতি ও শক্তির দ্বন্দ্ব এবার প্যান্ডোরাকে আরও বিভক্ত ও জটিল করে তুলবে।

অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার ছিল জলের গল্প, সম্পর্ক ও রূপকথার। ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ সেখান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন—এবার গল্প আগুনের, প্রতিশোধের, নেতৃত্বের, আর নারীকেন্দ্রিক ক্ষমতার এক অনন্য অনুবাদের। ভারাং শুধু একজন ভিলেন নন, বরং এক সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, যেখানে ভালো-মন্দের সংজ্ঞা আপেক্ষিক।

এই কিস্তির পর ২০২৯ ও ২০৩১ সালে মুক্তি পাবে অ্যাভাটার ৪ এবং অ্যাভাটার ৫, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভক্তদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।

২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম কিস্তি এখনও বিশ্বের সর্বাধিক আয় করা সিনেমা, আর দ্বিতীয় কিস্তি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। দু’টি মিলিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির আয় ৫.২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এ পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, ক্যামেরনের নির্মিত এই দুনিয়া শুধু সিনেমা নয়—এক সাংস্কৃতিক আন্দোলন।

সারাবাংলা/এফএন/এএসজি

অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ