Friday 11 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেই ‘বনি এম’ আসছে ঢাকায়


৫ জুলাই ২০১৮ ১৫:৫১ | আপডেট: ৫ জুলাই ২০১৮ ১৬:০৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বনি এম

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।

সত্তর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় গানের দল ‘বনি এম’। পশ্চিম জার্মানিতে ১৯৭৪ সালে যাত্রা শুরু করে দলটি। বিখ্যাত সংগীত প্রযোজক ফ্রাঙ্ক ফারিয়ানের গড়ে দেয়া এ দলের শুরুটা করেন লিজ মিচেল, মার্সিয়া ব্যারেট, মেইজি উইলিয়াম, ববি ফারেল ও রেগি সিবুইয়ের মতো তারকা শিল্পীরা। শুরুতেই ‘রিভার্স অফ ব্যাবিলন’, ‘রাসপুতিন’ আর ‘ব্রাউন গার্ল ইন দ্যা রিং’-এর মত গান গেয়ে তারা নিজেদের নিয়ে যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

বনি এম সারা দুনিয়াতেই অনেক বেশি জনপ্রিয় কারণ গানের মাধ্যমে সবসময় ইতিহাস বলার চেষ্টা করেছে দলটি। এজন্য তারা কখনো কখনো আশ্রয় নিয়েছে ধর্মগ্রন্থেরও। ‘রিভার্স অফ ব্যাবিলন’ গানটির মাধ্যমে ইউরো-ক্যারিবিয়ান এই গানের দলটি শুনিয়েছে ব্যাবিলনের কিংবদন্তি রাজা নেবুচাদনেজারের যুদাহ (বর্তমান ইসরায়েল) আক্রমণ ও যুদাহবাসীকে ক্রীতদাস হিসেবে বন্দি করার গল্প।

বিজ্ঞাপন

তবে এই গানটি সত্যিকার অর্থে ‘বনি এম’ সৃষ্টি করেনি। ১৯৭২ সালে ‘মেলোডিয়ানস’ নামের একটি জ্যামাইকান ব্যান্ড ‘রিভার্স অফ ব্যাবিলন’ গানটি প্রথম গায়। সে বছরই মুক্তি পাওয়া ‘দ্য হার্ডার দে কাম’ চলচ্চিত্রেও মেলোডিয়ানসের গানটি রাখা হয়। তবে গানটি জনপ্রিয়তা পায় ‘বনি এম’ কাভার করার পর। এছাড়াও তাদের ‘রাসপুতিন’ গানটিতে শোনানো হয়েছে রাশিয়ার রহস্যমানব গ্রেগরী রাসপুতিনের প্রেম ও পরিণতির (মুত্যু) করুণ কাহিনী।

বনি এমকে ধরা হয় ৭০ ও ৮০ দশকের সেরা ডিসকো-পপ ব্যান্ড। সে সময় ব্যান্ডটি বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। এদের গান যতোটা শোনা হতো, তারচেয়েও বেশি খোঁজা হতো এদের গাওয়া গানগুলোর মানে। সুরের মাধ্যমে দলটি বলতো পৃথিবীর অনেক না বলা ও স্পর্শকাতর ইতিহাস। এ কারণেই এখন পর্যন্ত আট কোটি কপি অ্যালবাম বিক্রি করেছে গানের দলটি।

বনি এম-এর গানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল গায়ক ববি ফ্যারেলের পাগল করা নাচ। ২০১০ সালে মারা গেছেন ববি ফ্যারেল। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। মজার ব্যাপার হলো এই শহরেই খুন হয়েছিলেন ফ্যারেলের গানে বর্ণিত ‘প্রেমিকপুরুষ’ রাসপুতিন। ফারেল কিভাবে মারা গেছেন জানা না গেলেও অনেক ভক্তই সন্দেহ করেন রাসপুতিনের মতো ফ্যারেলকেও হয়তো খুন করা হয়েছে বিষপ্রয়োগ করে। কারণ মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও মঞ্চে গান গেয়েছিলেন ফ্যারেল, সেখানেই জানিয়েছিলেন খাদ্য গ্রহণের পর কিছুটা অসুস্থবোধ করছেন তিনি।

গানের দল ‘বনি এম’-এর সঙ্গে অবশ্য বাংলাদেশের পরিচয় রয়েছে বেশ ভালোভাবেই। ২০০১ সালে ঢাকার শ্রোতাদের গান শুনিয়ে গেছে তারা। ষোল বছরের বিরতি নিয়ে আবারও ঢাকায় আসছে এই জার্মান ব্যান্ড।

১৩ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে ‘বনি এম লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামে গাইবেন বনি এম-এর জীবিত চার সদস্য। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে ‘ক্রেইন্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

সারাবাংলা/টিএস/পিএ/পিএম

গ্রেগরী রাসপুতিন দ্য হার্ডার দে কাম নেবুচাদনেজার বনি এম ববি ফারেল মার্সিয়া ব্যারেট মেইজি উইলিয়াম মেলোডিয়ানস যুদাহ রেগি সিবুই লিজ মিচেল