পাকিস্তানি টিভি ড্রামা মানেই আবেগ, উত্তেজনা আর চরিত্রের দারুণ সব গল্প। তবে গল্পকে জীবন্ত করে তুলছেন যেসব তারকা— তাদের ছাড়া কিন্তু স্ক্রিন ফাঁকাই থেকে যেত! এই সপ্তাহে এমন কয়েকজন অভিনেতা আবারো প্রমাণ করলেন, কেন দর্শক তাদের ভালোবাসে। চলুন, একটু ভিন্নভাবে তাদের চিনে নেই—
আজান সামি খান (ফারহাদ – Main Manto Nahi Hoon)
একদিকে সরল-ভদ্র ছেলে, আবার অন্যদিকে রহস্যময় আবেশ। আজানের ফারহাদ চরিত্র যেনো একসাথে ‘চকোলেট বয়’ আর ‘পাজল’! দর্শক ভাবছেই— আসলে তিনি কী লুকোচ্ছেন?
খুশহাল খান (মেরান – Biryani)
গম্ভীর, চুপচাপ কিন্তু চোখে হাজারো কথা। মেরান চরিত্রে খুশহাল যেনো ড্রামার রহস্য-খোলা বই। তার জীবনকাহিনী শোনার অপেক্ষায় আছেন ভক্তরা।
সারওয়াত গিলানি (গুল মেহার – Biryani)
সাত বছর পর টিভি স্ক্রিনে ফেরা! সারওয়াত যেনো এক নতুন বাতাস। গুল মেহার চরিত্রে তিনি মেরানের জীবনে এনে দেন প্রশান্তি—কিন্তু দর্শকের মনে প্রশ্ন, ‘তিনি আসলে কে?’
কোমল মীর (জারনাব – Goonj)
বিভ্রান্তি, দুঃখ, মানসিক দ্বন্দ্ব—সবটাই এত বাস্তবভাবে এনেছেন কোমল যে অনেক মেয়ে তার সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পাচ্ছে। সত্যি, এটাই একধরনের আয়না!
গোহর রশীদ (নাবিল – Goonj)
নেগেটিভ চরিত্রে এত ভালো অভিনয় করেছেন যে দর্শক নাবিলকে দেখে রাগে ফেটে পড়ছে! অথচ এখানেই গোহরের জয়—ঘৃণা জাগিয়েও তিনি দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
জারা নূর আব্বাস (বুশরা – Ek Jhooti Kahani)
নিখুঁত কমেডি টাইমিং! তার এক্সপ্রেশন দর্শককে হাসতে বাধ্য করেছে। জারা প্রমাণ করলেন—হাসির চরিত্রেও অভিনয় মানে ‘ওভারঅ্যাক্টিং’ নয়, বরং সূক্ষ্ম এক শিল্প।
মোহিব মির্জা (ইরফান – Ek Jhooti Kahani)
সহজ, সংযত, অথচ প্রাণবন্ত অভিনয়। মোহিব যেনো দেখালেন, কিভাবে হালকা-ফুলকা চরিত্রও দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পারে।