বই বন্দী ফেরদৌসী মজুমদার
৬ জুলাই ২০১৮ ১৮:৪২
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
ফেরদৌসী মজুমদার, দেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী। মহান মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী দেশের সংস্কৃতি চর্চার অগ্রগণ্য কর্মী। পার করে এসেছেন জীবনের ৭৫টি বছর। দেখেছেন দেশীয় কৃষ্টি-কালচারের রুপান্তর। সংস্কৃতির ভাঙা-গড়ার সাক্ষী হয়ে আছেন গুণী এই মানুষটি। নানা অভিজ্ঞতা এবং ইতিহাস পেরিয়ে বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী তিনি। স্বাভাবিকভাবেই জানতে ইচ্ছে করে ফেরদৌসী মজুমদারের জীবন।
সেই আগ্রহ কিছুটা হলেও মেটাবে ফেরদৌসী মজুমদারের লেখা তৃতীয় বই ‘যা ইচ্ছা তাই’। এই বইয়ে জীবনের নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। বইতে তিনি তার থিয়েটারের শুরুর দিন, বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক ও সংসার জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন। বইটি প্রকাশ করেছে জার্নি ম্যান বুকস।
শুক্রবার (৬ জুলাই) শিল্পকলা একাডেমিতে হয়েছে ‘যা ইচ্ছা তাই’ বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, রামেন্দু মজুমদার, লেখক আনিসুল হকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের আগে হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। ফেরদৌসী মজুমদারের স্বামী বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার অল্প কথায় বইটির বিষয়ে বলেন, ‘ফেরদৌসী যেমন আমার প্রিয় মানুষ, তেমন প্রিয় লেখকও। আমি চাই সে নিয়মিত লিখুক। এর আগেও তার লেখা দুটি বই প্রকাশ পেয়েছে। খুব সাবলীল লেখা তার। আমি পড়ি আর মুগ্ধ হই। আজকেও তার একটা বই বের হচ্ছে। বইটির নাম ‘‘যা ইচ্ছা তাই’’। বইটি নিয়ে আমি তেমন কিছু বলব না। এতটুকু বলব যে, এটি আমার পড়া অন্যতম সুন্দর একটি স্মৃতিচারণ। বইটি জীবনের একটা স্কেচ।’
ফেরদৌসী মজুমদারের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও সংস্কৃতিজন নাসিরউদ্দিনর ইউসুফ। তিনি তার সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, ‘বইটির নাম খুব সুন্দর ‘‘যা ইচ্ছা তাই’’। তবে বইটি কিন্তু যা ইচ্ছা তাই নয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফেরদৌসী মজুমদার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই দেশ, দেশের রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক সমাজটাকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন।’
সারাবাংলা/পিএ