ঝলমলে পর্দার এক চিরচেনা নাম, একাধারে রোমান্টিক হিরোইন আবার শক্তিশালী চরিত্রের অনবদ্য অভিনেত্রী— তিনি শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি! দুই দশকের বেশি সময় ধরে টলিউডে তার উপস্থিতি যেন আলাদা উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে। দর্শকের মনে একদিকে তার হাসি, অন্যদিকে জীবনের সাহসী পথচলা— সব মিলিয়ে তিনি আজও বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা।
আর এই দুর্গাপূজায় তিনি আসছেন এক ভিন্ন রূপে, নতুন সিনেমা ‘দেবী চৌধুরাণী’ নিয়ে।
শ্রাবন্তীর নতুন সিনেমা ‘দেবী চৌধুরাণী’, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র এবং প্রযোজক অনিরুদ্ধ-অপর্ণা দাশগুপ্ত। এতে সঙ্গে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী – একজনের জন্য দর্শকপ্রিয়দের জুটি। এই সিনেমায় শ্রাবন্তীর চরিত্রের শক্তিশালী উপস্থিতি যেন তার ব্যক্তিগত জীবনের সাহসী দিকের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। ছোট বয়সে মা হয়ে, মাত্র ২১ বছর বয়সে আবার কাজে ফেরার মতো সাহস—এটাই তার জীবনের বাস্তব নায়কত্ব।
শ্রাবন্তী বলেন, তার ছেলে শুধু সন্তান নয়, বরং বন্ধু। মাত্র ১৬ বছরের পার্থক্য! তাই ছেলের বন্ধুদের কাছে তিনি ‘আন্টি’ নন, বরং দিদি। দুই-একজন ছাড়া আর কেউ তাকে আন্টি বলে না। দেখতে দেখতে, জীবনের এই মধুর সম্পর্কের গল্প যেন সিনেমার চরিত্রের সাথে মিশে যাচ্ছে। আর দর্শকও মনে করছেন, সিনেমার রোল মডেলটি আসল জীবনে ঠিক কেমন একজন নারী!
‘দেবী চৌধুরাণী’-তে শুধু গল্পের রহস্য নয়, সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং শক্তিশালী চরিত্রের দৃঢ়তা – সবই আছে। শ্রাবন্তীর শক্তিশালী অভিনয় এবং চরিত্রের জীবন্ততা দর্শকদের চোখে আনন্দ ও কৌতূহল জাগাবে। এটি এমন একটি সিনেমা, যা দেখতে বসলে মনে হবে, আমরা শুধু গল্প দেখছি না, বরং একজন নারীর সাহস ও জীবনের গল্পও অনুভব করছি।