বাংলাদেশি সিনেমায় নতুন এক নাম— ‘সাবা’। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বড় পর্দায় আসছেন জনপ্রিয় টিভি তারকা মেহজাবীন চৌধুরী। ছোট পর্দায় অসংখ্য হৃদয় ছোঁয়া অভিনয়ের পর তিনি পা রেখেছিলেন চলচ্চিত্র জগতে, আর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম সিনেমা—‘সাবা’। আসছে ২৬ অক্টোবর ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে দর্শকদের। এরইমধ্যে প্রকাশ হয়েছে দেড় মিনিটের ট্রেলার, যেখানে উঠে এসেছে মায়ের প্রতি মেয়ের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর লড়াইয়ের করুণ বাস্তবতা।
গল্পে দেখা যায়, বাবার নিখোঁজ হওয়ার পর অসুস্থ মাকে নিয়ে একা লড়াই শুরু করে সাবা। আর এই মায়ের চরিত্রে আছেন বরেণ্য অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন মোস্তফা মনোয়ার।
চিত্রনাট্য লিখেছেন মাকসুদ হোসেন ও ত্রিলোরা খান, পরিচালনাও করেছেন মাকসুদ নিজেই। আর সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হলো— নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই গল্প নির্মাণ করেছেন তিনি। তার ভাষায়—‘সাবা মূলত ছেড়ে দেওয়ার সাহস আর ভালোবাসার শক্তির গল্প।’
বাংলাদেশের দর্শক দেখার আগেই ছবিটি ঘুরে এসেছে দুনিয়ার বড় বড় চলচ্চিত্র উৎসবে। টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হওয়ার পর ‘সাবা’ প্রদর্শিত হয়েছে বুসান, রেড সি, গ্যোটেবর্গ, সিডনি আর রেইনড্যান্সে। শুধু তাই নয়, ভ্যারাইটি ও স্ক্রিন ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সমালোচকেরাও ছবিটিকে উচ্চ প্রশংসা দিয়েছেন।
এমনকি ইতোমধ্যেই ছবিটি বিক্রি হয়েছে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল–৪, অস্ট্রেলিয়ার এসবিএস এবং কাজাখস্তানের অলটারনাটিভা ডেজ–এ।
টেলিভিশনে তিনি যে নামটি শুনলেই দর্শকরা চোখ রাখেন স্ক্রিনে— তিনি মেহজাবীন চৌধুরী। ছোট পর্দায় প্রেম, পরিবার, সম্পর্ক— সব ধরনের চরিত্রে তিনি একেকবার একেকভাবে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসা এই অভিনেত্রী এরপর একে একে অসংখ্য নাটকে রাজত্ব করেছেন।
তবে এবার যেন তার জন্য নতুন মাইলফলক— চলচ্চিত্র। ছোট পর্দার প্রিয় এই তারকা বড় পর্দায়ও দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।