নায়ক রাজের নামে ফিল্ম ইন্সটিটিউট করার দাবি
৮ জুলাই ২০১৮ ২০:৪৫
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
৪১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আসরে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন দেশীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পী ফারুক ও ববিতা। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক, সনদ ও মেডেল গ্রহণ করেন এই দুই গুণী অভিনয় শিল্পী।
পুরস্কার প্রদানের পর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ৩১জনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ববিতা ও ফারুক। প্রথমেই কথা বলেন ববিতা। তার বক্তব্যে তিনি নায়ক রাজ রাজ্জাককে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নামে ফিল্ম ইন্সটিটিউট বা ফিল্ম আর্কাইভ স্থাপন করার আবেদন জানান। সরকারের কাছে শিল্পীদের স্বল্পমূল্যে আবাসন ব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার আবেদন জানান ববিতা।
ববিতা তার আজীবন সম্মাননা তার ভক্তদের উৎস্বর্গ করে বলেন, ‘আমি প্রথমেই স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি না হলে হয়ত এদেশ স্বাধীন হতো না। বাংলাদেশে চলচ্চিত্রও নির্মিত হতো না। বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেছিলেন ‘‘তুই অনেক বড় হবি’’। সেই আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে।’
ববিতার চলচ্চিত্রে যাত্রা প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের হাত ধরে। আলোচনায় তাকেও স্মরণ করেন ববিতা। আলোচনায় তিনি আরও শ্রদ্ধা জানান উপমহাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়, সুভাষ দত্তসহ অনেককে।
নতুনদের জন্য পরামর্শ দিয়ে ববিতা বলেন, ‘নবীন শিল্পী ও কলাকুশলীদের আরও সিনসিয়ার হতে হবে। এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে দেশের চলচ্চিত্রকে। এর জন্য প্রয়োজন ডেডিকেশন ও ফোকাস।’
ববিতা তার সহশিল্পী এবং আজীবন সম্মাননা পাওয়া আরেক অভিনয়শিল্পী ফারুককে অভিনন্দন জানিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। ‘ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। তার সঙ্গে নদীর পারে শীত কালে একটি ছবিতে কাজ করার কথা আমার আজও মনে পরে।’ জানান ববিতা
বিজয়ীদের পক্ষে দ্বিতীয় শিল্পী হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফারুক। তিনিও তার আজীবন সম্মাননা দর্শক-ভক্তদের প্রতি উৎস্বর্গ করেন। ফারুক তার বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেন।
বিজয়ীদের সবাইকে তার শুভেচ্ছা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানান নবীনদের। একই সঙ্গে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।
সারাবাংলা/পিএ