দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে চিত্রনায়িকা পরীমণি অভিনীত সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘ডোডোর গল্প’। এই সিনেমা শুধু তার অভিনয়জীবনের আরেকটি সংযোজন নয়—বরং এটি যেন তার জীবনেরই এক আবেগঘন অধ্যায়। সিনেমার প্রচারণা শুরু হতেই পরীমণি যেন ফিরেছেন তার পুরোনো উজ্জ্বল ছন্দে।
পরীমণির ভাষায়, “ইনবক্সে সবাই নিউজ পাঠাচ্ছেন যে ‘ডোডোর গল্প’ রিলিজ হচ্ছে। এটা আমার জন্য খুবই এক্সাইটিং একটা ব্যাপার।” অভিনেত্রীর এই উচ্ছ্বাসে বোঝা যায়, চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কতটা আন্তরিক। তিনি আরও বলেন, ‘প্রমোশনটার স্টার্ট হয়ে গেছে, আর সেটা আপনাদের হাত ধরে—এটাই সবচেয়ে আনন্দের।’ একজন শিল্পীর জন্য দর্শকের ভালোবাসা যত বড় পুরস্কার, তার প্রমাণ যেন এই মুহূর্তে পরীমণির চোখেমুখে স্পষ্ট।
‘ডোডোর গল্প’ নিয়ে পরীমণির অনুভূতি বিশেষ। তিনি বলেন, ‘বয়সের একটা জার্নি দেখানো হয়েছে সিনেমায়—একদম টিনেজ থেকে পঞ্চাশোর্ধ বয়স পর্যন্ত।’ এই রূপান্তর দেখাতে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ঢেলে দিয়েছেন তিনি। বয়সের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য লুক থেকে শুরু করে আবেগের সূক্ষ্ম প্রকাশ—সবকিছুতেই পরীমণি নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছেন। তার কথায়, ‘এই লুকটা দেখার জন্য আমি এক্সাইটেড—বিশেষ করে সিনেমার এন্ড পার্টের জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে হঠাৎ করেই পরীমণি জানান, ‘প্লিজ আর কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন করিয়েন না, আমি অনেক কিছু বলে দেবো।’ এই এক বাক্য যেন মুহূর্তেই কৌতূহল ছড়িয়ে দেয় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে। কী সেই ‘অনেক কিছু’? সিনেমা না কি তার জীবনের নতুন কোনো গল্প? পরীমণি কিছুই খোলাসা করেননি, বরং এক চিরচেনা হাসি হেসে রহস্য আরও গভীর করে তুলেছেন।
সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমাটি দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় ছিল। শুটিং শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে, তবুও মুক্তির অপেক্ষা যেন দীর্ঘ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘ডোডোর গল্প’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে শিগগিরই।
গত কয়েক বছরে নানা বিতর্ক, ব্যক্তিগত উত্থান-পতন পেরিয়ে আজকের পরীমণি যেন আরও পরিণত, আরও আত্মবিশ্বাসী। তার কথায়, ‘এই সিনেমাটা আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে থাকবে। এটা শুধু একটা কাজ নয়, এটা আমার অনুভব।’ সেই অনুভবেই হয়তো লুকিয়ে আছে নতুন এক পরীমণির গল্প—যিনি বলতে চান, ‘প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেবো।’