বাংলা চলচ্চিত্রে গুঞ্জন থাকে, থাকে প্রত্যাশা। কিন্তু কখনও কখনও সেই গুঞ্জন যখন সত্যি হয়, তখন শোবিজে তৈরি হয় বাড়তি উত্তাপ। ঠিক তেমনই হলো এবার—ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ প্রথমবার একই পর্দায় আসছেন। আর এই ঘোষণা আসতেই দর্শকের মনে যেন নতুন করে আলো জ্বলে উঠেছে।
কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে থাকছেন ফারিণ। শেষ পর্যন্ত ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মস তাদের অফিসিয়াল বার্তায় খবরটি নিশ্চিত করেছে। প্রযোজক শিরিন সুলতানা এবং ফারিণের একটি ছবি প্রকাশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে— “তাসনিয়া ফারিণ ‘প্রিন্স’-এ যোগ দিলেন।”
এই এক ছবিই যেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে ভবিষ্যৎ এক উত্তেজনার ইঙ্গিত তৈরি করেছে।
‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ পরিচালনা করছেন আবু হায়াত মাহমুদ। গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন জনপ্রিয় লেখক মেজবাহ উদ্দিন সুমন, সহ-লেখক ছিলেন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন—অর্থাৎ গল্পের হাত একেবারেই অভিজ্ঞদের ওপর।
নাম থেকেই বোঝা যায়, সিনেমাটি হবে অ্যাকশন–ড্রামার এক নতুন ধারার গল্প, যেখানে ঢাকার ভিন্ন রূপ উঠে আসবে।
এদিকে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও ‘প্রিন্স’ টিমের সাক্ষাৎ হওয়া ছবিটিকে আন্তর্জাতিক কৌতূহলও এনে দিয়েছে।
দর্শকের কাছে শাকিব খান মানেই জনপ্রিয়তা, তারকা-ব্যাপকতা ও বড় পর্দার নিশ্চয়তা। অন্যদিকে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ও টেলিভিশনে ধারাবাহিক সাফল্যের পর ফারিণ এখন সিনেমায় নিজস্ব জায়গা তৈরি করছেন।
এই দুইজনকে প্রথমবার একই ফ্রেমে দেখা— এটাই সিনেমার বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। ঢালিউডে নতুন জুটি মানেই নতুন রসায়নের প্রত্যাশা; আর সেই প্রত্যাশা এবার আকাশছোঁয়া।
যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়, আগামী ঈদুল ফিতরেই প্রেক্ষাগৃহে আসবে ‘প্রিন্স’। আর ঈদের বড় মুক্তি মানেই দর্শকের বাড়তি উন্মাদনা— এর মধ্যেই ‘প্রিন্স’ সবচেয়ে আলোচিত প্রকল্পগুলোর একটি হয়ে গেছে।
শাকিব–ফারিণ জুটি কতটা জমবে?
ফারিণ কি বড় পর্দায় নতুন ধামাকা দিতে পারবেন?
‘প্রিন্স’ কি অ্যাকশন–ড্রামায় নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে?
এমন প্রশ্নই এখন ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ও চলচ্চিত্র মহলে।