দিলদার: পর্দায় যার উপস্থিতি ছিল দর্শকের আনন্দ
১৩ জুলাই ২০১৮ ১৬:২৪
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
রুপালি পর্দা সবসময় নায়ক-নায়িকার দখলে। তাদের নিয়েই মাতামাতি করে দর্শকরা। কিন্তু নায়ক বা নায়িকার পাশাপাশি আরও অনেক চরিত্র থাকে যাদের অভিনয় দর্শকদের প্রশান্তি এনে দেয়।
দেশীয় চলচ্চিত্রে অভিনেতা দিলদার তেমন একজন। আরও বিশেষায়িত করতে গেলে বলতে হয় তিনি একজন কৌতুক অভিনেতা। দেশীয় চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদার একটি গৌরবের ইতিহাস। পর্দায় যার উপস্থিতি যেন হলভর্তি দর্শকদের আনন্দ।
শুক্রবার (১৩ জুলাই) বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই কৌতুক অভিনেতার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালে আজকের দিনে ৫৮ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। মৃত্যুর এতোগুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও মানুষ তাকে ভোলেনি। তাকে কৌতুক সম্রাট উপাধি দিয়ে স্থায়ী জায়গা দিয়েছেন হৃদয়ে। আর তাই এখনও টেলিভিশনে তার অভিনীত সিনেমা প্রচার হলে মানুষ অদ্ভুত ভালোলাগা নিয়ে উপভোগ করে।
https://www.youtube.com/watch?v=fFG0XZH1OhY
দিলদারের সাথে একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ। তার কাছে দিলদার চৌকশ এক কৌতুকাভিনেতা। তিনি দিলদার প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘কমেডি অভিনয় করা খুব কঠিক কাজ। এখানে পরিমিতিবোধ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনটা কমেডি আর কোনটা ভাঁড়ামি সেটা দিলদার ভালোভাবে বুঝতেন। তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গির ভেতর অভিনয় খেলা করতো। তিনি অত্যন্ত ভালোমানের সফল অভিনেতা ছিলেন। আমাদের দূর্ভাগ্য তিনি চলে যাওয়ার পর তার মতো এমন উঁচু মাপের কৌতুকাভিনেতা পাইনি।’
কেনো দিলদার এর মৃত্যুর পর তার মতো বা কাছাকাছি কোন অভিনেতা পায়নি দেশের চলচ্চিত্র? এ প্রশ্নের উত্তরে রিয়াজ বলেন, ‘অভিনেতা দিলদারের মৃত্যুর পর অনেকেই চেষ্টা করেছেন তার মতো অভিনয় করতে। কিন্তু সফল হয়নি। আসলে কারও মতো কেউ হতে পারেনা। আগামীতে দিলদারের কাছাকাছি কেউ আসবে কিনা দেশের চলচ্চিত্রে সেটা সময় বলে দেবে।’
রিয়াজ মনে করেন চলচ্চিত্রে দিলদারের মতো কৌতুক অভিনেতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। দর্শকদের মাতিয়ে রাখার অন্যতম নিয়ামক কৌতুক অভিনেতা।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের গুণী নির্মাতা মমতাজুর রহমান আকবর। তার অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন দিলদার। তার প্রসঙ্গে মনতাজুর রহমান আকবর সারাবাংলাকে বলেন, ‘দিলদার মানুষ হিসেবে খুব ভালো ছিলেন। খুবই আন্তরিক। শিল্পী হিসেবে তার কোন তুলনা নেই। এরকম শিল্পী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আসবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।’
মৃত্যুবার্ষিকীতে দিলদারকে শ্রদ্ধা জানাতে এবং স্মরণ করতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে বিএফডিসিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
দিলদারের স্ত্রীর রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ