আবারও বড় পর্দায় ‘মাসুদ রানা’
২৯ জুলাই ২০১৮ ১৫:৫৭
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র মাসুদ রানা, বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের দুর্ধর্ষ স্পাই। বাংলা থ্রিলার জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই চরিত্রটির পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বিদেশে দুঃসাহসী সব মিশন পরিচালনাকারী এই গুপ্তচর কখনো পরাজিত হন না, এমনকি মৃত্যুও কখনো স্পর্শ করতে পারেনি তাকে। মেজর জেনারেল রাহাত খানের এই শিষ্যকে নিয়ে বাঙালি পাঠকদের মনে রয়েছে গভীর আবেগ। আর সে কারণেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া চাচ্ছে চরিত্রটিকে সিনেমায় দেখাতে।
আগামী পাঁচ বছরে মাসুদ রানা সিরিজের তিনটি বই থেকে তিনটি সিনেমা তৈরি হবে। এজন্য ‘ধ্বংস পাহাড়’, ‘ভারতনাট্যম’ ও ‘স্বর্ণমৃগ’ নামের তিনটি বই নির্বাচন করেছে জাজ। চরিত্রটির স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতিও নিয়ে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথমে যে ছবিটি আসবে সেটির বাজেট ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। শুরু হয়ে গেছে চিত্রনাট্য লেখার কাজও।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, একবছরেরও বেশি সময় ধরে কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা চালিয়ে গেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি করিয়েছেন কাজী মোতাহার হোসেন তনয়কে। এটি হতে যাচ্ছে প্রযোজক আজিজের স্বপ্নের সিনেমা।
সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসেছে ক্যামেরার সামনে কে হবেন মাসুদ রানা? আব্দুল আজিজ নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশি কোনও নায়কই থাকবেন ছবিতে। ‘আমরা কয়েকজনকে ভেবে রেখেছি। তবে এখনই নায়ককে সামনে আনতে চাচ্ছি না। এটি চমক হিসেবেই থাকুক। পরিচালক বাংলাদেশিও হতে পারে আবার বিদেশিও হতে পারে। মাসুদ রানাকে গভীরভাবে চেনেন এমন কাউকেই হয়তো সিনেমাটা নির্মাণের দায়িত্ব তুলে দিবো।’
আব্দুল আজিজ আরও জানান, সারাবিশ্বে একযোগে ছবিটি মুক্তি দিতে চান তিনি। সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ভাষায় ডাবিং করা হবে এই ছবি। চরিত্রটিকে পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় দেয়াই তার লক্ষ্য।
১৯৬৬ সালের মে মাসে প্রকাশিত হয় ‘ধ্বংস পাহাড়’। এটিই মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম প্রকাশিত বই। এরপর কাজী আনোয়ার হোসেন ৪৪৬টি পর্ব বের করেছেন এই সিরিজের। মাসুদ রানার চরিত্রটি মূলত ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্ট জেমস বন্ড চরিত্রটির বাঙালি সংস্করণ। তবে ‘ধ্বংসপাহাড়’সহ সিরিজের প্রথম দিককার কয়েকটি বই মৌলিক।
মাসুদ রানা সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন মেজর, এবং কাল্পনিক সংস্থা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর সদস্য, এবং তার সাংকেতিক নাম MR-9। এছাড়া রানা এজেন্সি নামক একটি গোয়েন্দা সংস্থাও রানা পরিচালনা করে থাকে। রানার গুরুত্বপূর্ণ শত্রুদের মধ্যে কবীর চৌধুরী ও উ সেন উল্লেখযোগ্য।
প্রসঙ্গত, ‘বিস্মরণ’ বইটি থেকে ১৯৭৩ সালে ‘মাসুদ রানা’ নামে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন সোহেল রানা। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম