নায়ক না হয়ে আসছেন শাকিব
২ আগস্ট ২০১৮ ১২:৫৯
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
আয়নাবাজির সাফল্যের পর দুই বছর পার হয়ে গেছে। অমিতাভ রেজা শীতনিদ্রায়। অন্তত বাংলা সিনেমার দর্শকদের বক্তব্যটা এমনই। তবে সত্যটা হলো পরবর্তী সিনেমার কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছেন অমিতাভ। ছবির নাম ‘রিকশা গার্ল’। ছবির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করবেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।
মিতালি পারকিনসের কিশোর সাহিত্য ‘রিকশা গার্ল’। ইংরেজি সাহিত্যে বইটি দারুণ জনপ্রিয়। ২০০৭ সালে আমেরিকায় সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় সবার উপরে ছিল রিকশা গার্ল। পারকিনসনের গল্প থেকেই ছবি বানাচ্ছেন অমিতাভ। চিত্রনাট্য লিখেছেন শর্বরী জোহরা আহমেদ।
আরও পড়ুন : সঙ্গে আছেন তারকারাও
রিকশা গার্লের প্রথম পর্বের কাজ বলতে গেলে শেষ। শাকিব বাদে একঝাঁক নতুন শিল্পী নিয়ে করা হয়ে গেছে রিহার্সালও। এখন শুরু হবে দৃশ্যায়নের কাজ। অমিতাভের ইচ্ছে ছিল শরতে শুরু করবেন দৃশ্যধারণ। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার দোহাই দিয়ে আরেকটু সময় নিতে চাচ্ছেন দেশের জনপ্রিয় এই বিজ্ঞাপন নির্মাতা।
সারাবাংলাকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে হবে না। কারণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আশা করছি নভেম্বর নাগাদ কাজ শুরু করতে পারব।’
রিকশা গার্লে শাকিবকে নেয়ার কারণ জানাতে গিয়ে অমিতাভ বলেন, ‘শাকিব জনপ্রিয় অভিনেতা। অনেকদিন থেকেই সে ভালো অভিনয় করছে। আমার মনে হয় শাকিবকে আমি ভালো ভাবে উপস্থাপন করতে পারব। রিকশা গার্লে যে চরিত্রে তাকে নিয়েছি, সেই চরিত্রটিও দর্শক পছন্দ করবে।’
আরও পড়ুন : সেন্সরে যাচ্ছে ক্যাপ্টেন খান
ছবিতে শাকিবের চরিত্রটি কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ বলেন, ‘আমার ছবিতে কোন নায়ক নেই। ফলে শাকিবকে ঠিক নায়ক বলা যাবে না। সিনেমার গল্প অনুযায়ী সে গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্রে অভিনয় করবে। তিন দিনের মতো সময় লাগবে তার চরিত্র ধারণের জন্য। আশা করি শাকিব নিজের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবে।’
এদিকে সিনেমা পাড়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, রিকশা গার্ল ছাড়াও আরও একটি ছবিতে শাকিবকে নিয়েছেন অমিতাভ। ‘পুনরুজ্জীবন’ নামের সেই ছবিটি প্রযোজনা করবে জাজ মাল্টিমিডিয়া। তবে এই গুঞ্জনকে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন অমিতাভ। কারণ এখনো ছবিটির চরিত্র নির্ধারণ করেননি তিনি। তবে শাকিবকে নেয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। রিকশা গার্লের দৃশ্যায়ন শেষেই ছবিটি নিয়ে কাজ শুরু করবেন অমিতাভ রেজা।
সারাবাংলা/টিএস/পিএ