Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তারা অস্কার পরিবার


৪ আগস্ট ২০১৮ ১৭:১৮

হিউস্টন পরিবার

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।

চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অস্কার। এখানে পুরস্কার দেয়া ও নেয়ার পাশাপাশি ঘটে নানা ধাঁচের চমকপ্রদ ঘটনা। থিয়েটারের বাতি নিভিয়ে দেয়ার পর এসব ঘটনার অনেক কিছুই হয়তো চলে যায় বিস্মৃতির আড়ালে। আবার এমন অনেক অভাবনীয় ঘটনাও ঘটে যা কিনা ইতিহাসও স্বযত্নে লিখে রাখে নিজের পাতায়।

১৯৪৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল হলিউডি ক্লাসিক ‘দ্য ট্রেজার অফ দ্যা সিয়েরা মাদ্রে’ ছবিটি। ছবিটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছিলেন ‘দ্য গ্রেট’ জন হিউস্টন। বাবা ওয়াল্টার হিউস্টন অভিনয় করেছিলেন ছবিটির সহ-অভিনেতার চরিত্রে। তার ক্যারিয়ার তখন পড়তির দিকে, বয়সও প্রায় শেষ। তার দু’বছর পরই পৃথিবীকে বিদায় বলে যাত্রা করেছেন চিরন্তন শূণ্যতায়। তখন কে জানতো বুড়ো বয়সে অভিনয়ের যাদু দেখাবেন ওয়াল্টার!

ছেলে জনের বানানো সিনেমা বলেই হয়তো নিজের সেরাটা দিয়ে অভিনয় করেছিলেন ওয়াল্টার। তার অভিনয় দেখে আপ্লুত হয়েছিল আমেরিকার সাধারণ দর্শক। মুগ্ধ হয়েছিল একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের বিচারকরাও। তাই পরের বছর অস্কারের ২১তম আসরে সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কারটি জিতলেন ওয়াল্টার।

জন হিউস্টন

জন হিউস্টন

তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। একই আসরে সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার উঠলো ওয়াল্টারের ছেলে জন হিউস্টনের হাতে। ফলে সিনেমার ইতিহাসে ঘটল এক অভাবনীয় ঘটনা। প্রথম ও শেষবারের মতো একাডেমির মঞ্চে সোনালী মানবকে একসঙ্গে ছুঁয়ে দেখলো পিতা-পুত্র জুটি। আর এই দৃশ্য যত্নের সাথে টুকে রাখলো ইতিহাস।

পরে এই ইতিহাসকে আরও বিস্তৃত করেছে জনের মেয়ে অ্যাঞ্জেলিকা হিউস্টন। ১৯৮৬ সালে হিউস্টন পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে পার্শ্ব অভিনেত্রীর অস্কার জিতেছেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো, অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জনের ছেলে টনি হিউস্টনও। বাবার নির্মিত শেষ সিনেমা ‘দ্য ডেড’-এর জন্য সেরার দৌড়ে ছিলেন টনি। ছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন টনি।

একই পরিবারের দুইজন সদস্যের অস্কার পাওয়ার ঘটনা অনেক। এই তালিকায় আছেন ফোর্ড কপোলা ও সুফিয়া কপোলার মতো নির্মাতাও। তবে হিউস্টন পরিবারের সদস্যরা তিন প্রজন্ম ধরে অস্কারকে যেভাবে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন তেমনটা করতে পারেননি আর কেউই। কে জানে টনির বা অ্যাঞ্জেলিকার কল্যানে হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আরও একটি অস্কার শোভা পাবে হিউস্টন পরিবারের শোকেসে। কারণ সিনেমায় হিউস্টন পরিবারের সদস্যরা এখনো সচল।

যাই হোক, এই ইতিহাস খুড়ে আনার পেছনে কারণ ‘গ্রেট ডিরেক্টর’ জন হিউস্টনের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আগস্টের পাঁচ তারিখে তার বয়স হতো ১১২ বছর। সারাবাংলা পরিবারের পক্ষ থেকে সিনেমার ইতিহাসের এই অমর মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

সারাবাংলা/টিএস/পিএম

অ্যাঞ্জেলিকা হিউস্টন ওয়াল্টার হিউস্টন জন হিউস্টন দ্য ট্রেজার অফ দ্যা সিয়েরা মাদ্রে ফোর্ড কপোলা সুফিয়া কপোলা হিউস্টন পরিবার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর