গণ-অর্থায়নের নতুন সিনেমা ‘সাঁতাও’
১২ আগস্ট ২০১৮ ১৫:৩৫
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রধানতম সমস্যার একটি প্রযোজক না পাওয়া। আর এই সমস্যা কাটাতে কখনো কখনো গণ-অর্থায়নের কথা ভাবতে হয় তাদের। দেশে এর প্রচলন কম হলেও গণ-অর্থায়নের ধারণাকে নতুন বলা যাবে না। নির্মাতা আবু সাইয়ীদ দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করেছেন গণ-অর্থায়ন থেকে। বরেন্য নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলও তার চলমান ছবি ‘রূপসা নদীর বাঁকে’র জন্য গণ অর্থায়নের আহ্বান করেছেন।
এবার আরও একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা গণ-অর্থায়নের মাধ্যমে নির্মাণ করতে চাইছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সিনেমার নাম ‘সাঁতাও’, পরিচালনা করবেন খন্দকার সুমন। এর আগে তিনি নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পৌনঃপুনিক’ ও ‘অঙ্গজ’।
সাঁতাও সিনেমার গল্প গড়ে উঠেছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনের কাহিনী নিয়ে। কৃষকের অসহায়ত্ব সঙ্গে দাদন ব্যবসায়ীদের রক্তচক্ষু। কৃষকেরা গ্রাম ছেড়ে শহরে যাচ্ছে, জীবনের মায়া না করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। নানান দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরছে গ্রামে। এমন সব চলমান ঘটনার পাশাপাশি বিপরীতে থাকা একজন কৃষকের গল্পও থাকবে ছবিতে।
ছবিতে ফজলু চরিত্রে অভিনয় করবেন ‘রানওয়ে’ খ্যাত ফজলুল হক এবং পুতুল চরিত্রে অভিনয় করবেন ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমার অভিনেত্রী আইনুন পুতুল।
পরিচালক খন্দকার সুমন জানান, ‘কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় আবর্তিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘‘সাঁতাও’’ এর গল্প। প্রথাগত নির্মাণের বাহিরে এসে অর্থ সংগ্রহের জন্য গণ-অর্থায়নের পরিকল্পণা করেছি আমরা। আমরা চাই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ছাড়াই আমাদের বলতে চাওয়া গল্পটিকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকের সামনে হাজির করতে।’
স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণের এই উদ্যোগে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিচালক। এজন্য খোলা হয়েছে একটি ওয়েব সাইট। সেখানে সবার পরিচয় রয়েছে। ছবিতে কেউ অর্থায়নে আগ্রহী হরে কীভাবে টাকা দেবেন, তার সিব পদ্ধতিই দেয়া আছে সেখানে। একশ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন করতে পারবেন যে কেউ। সিনেমা প্রদর্শনের আগে কিছু উপহার থাকবে অর্থ প্রদানকারিদের জন্য। ওয়েবসাইটে রয়েছে তারও বর্ণনা।
ওয়েব সাইটের ঠিকানা saatao.khandakersumon.com
সারাবাংলা/পিএ/পিএম