ষাটে ম্যাডোনা, তবুও কেন পপ সম্রাজ্ঞী তিনি
১৬ আগস্ট ২০১৮ ১৪:২৫
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
তিনি আমেরিকান সংগীতশিল্পী। কিন্তু তার ঘোর সারা দুনিয়া জুড়ে। শুধু গান দিয়েই নয়, ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে তিনি অর্জন করেছেন জগৎজোড়া খ্যাতি। পপ সম্রাজ্ঞী বললেই দেশ-স্থান-কাল নির্বিশেষে সবার মনে আসে একটিই নাম। আর সেই নাম- ম্যাডোনা।
আজ (১৬ আগস্ট) দুনিয়া মাতানো এই সংগীতশিল্পীর ষাটতম জন্মদিন। এই ষাট বছরের মধ্যে ৩৫ বছরের ক্যারিয়ার তার। কেমন ছিল সেই পথচলা? একটু ফিরে দেখা যাক।
১৯৮৩ সালে সংগীতজগতে আসেন ম্যাডোনা। ‘ম্যাডোনা’ নিজ নামেই প্রকাশ পায় তার প্রথম অ্যালবাম। যেন এক মহাকাব্যিক শুরু। কারণ অ্যালবাম প্রকাশের পর সেই বছরই দশটি কনসার্টে অংশ নেন ম্যাডোনা। যা ছিল একজন তরুণ কণ্ঠশিল্পীর জন্য অবিশ্বাস্য ঘটনা। আর অ্যালবাম বিক্রি? ৩০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে সেটিও রেকর্ড গড়ে।
যে কোনো নারী কণ্ঠশিল্পীর জন্য এই পরিসংখ্যান একটি বিশ্ব রেকর্ড এবং তা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড-এও উঠেছে। আর এই রেকর্ড অন্য কোনো নারী সংগীতশিল্পীর এখনও নেই। কিন্তু এছাড়া আরও অনেক কারণ আছে যার জন্য ম্যাডোনাকে পপ সম্রাজ্ঞী বলা হয়ে থাকে।
ম্যাডোনার আছে ১২টি স্টুডিও অ্যালবাম। আশ্চর্যজনকভাবে এর সবগুলোই ছিল নাম্বার ওয়ান স্পটে। এই দম্ভ শুধু বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলস এবং কণ্ঠশিল্পী এলভিস প্রিসলিই দেখাতে পেরেছেন। ১৯৯০ সালে প্রকাশ হয় ম্যাডোনার অ্যালবাম ‘ইমাকুলেট কালেকশন’। অ্যালবামটি টানা ৩৩৮ সপ্তাহ টপ চার্টে ছিল। যার মধ্যে দুই মাস ছিল এক নম্বর অবস্থানে।
এত এত গান ম্যাডোনার। তার মধ্যেও কিছু গান আছে যা গেঁথে আছে মানুষের হৃদয়ে। তেমন পাঁচটি গানের মধ্যে প্রথমেই আছে ‘লাইক আ ভার্জিন’, ‘হাং আপ’, ‘হলিডে’, ‘লা ইসলা বনিতা’, ও ‘লাইক আ প্রেয়ার’। এলভিস প্রিসলির পর ম্যাডোনার সিঙ্গেলসগুলোই ইউকে টপচার্টে সেরা পাঁচের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার থেকেছে।
তিন দশক ধরে ম্যাডোনার ‘লাইক আ ভার্জিন’ গানটি টপচার্টের সেরা পাঁচে ছিল। ভাবা যায়! আর এরকম অভাবনীয় সব সাফল্যের কারণে খুব দৃঢ়ভাবেই তাকে পপ সম্রাজ্ঞী বলা যায়।
পৃথিবীর প্রায় সব বড় এবং নামকরা গণমাধ্যম আজ লিখেছে ম্যাডোনাকে নিয়ে। বিশ্বসংগীতে তার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ম্যাডোনাকে তুলে ধরা হয়েছে নারীকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস হিসেবে। এমনকি ম্যাডোনাকে রাখা হয়েছে সেই সব শিল্পীদের কাতারে, যারা সংস্কৃতিকে রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম