এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।
রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিছু যাত্রী। বৃষ্টি পড়ছে অঝোর ধারায়। সবাই ছাউনিতে আশ্রয় নিলেও ব্যতিক্রম কেবল ঈশিতা। তিনি কোন বৃষ্টির তোয়াক্কা না করে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন প্ল্যাটফর্মের একপাশে। মলিন মুখে তাকিয়ে আছেন সম্মুখপানে। যেন রাজ্যের হতাশার মাঝে তিনি কেবলই হাবুডুবু খাচ্ছেন।
ঈশিতার এ অবস্থা কেনো? কেনোইবা এভাবে বসে আছেন? এই প্রশ্ন দু’টির উত্তর জানা যাবে রেদওয়ান রনি নির্মিত ঈদুল আজহার নাটকে। ’পাতা ঝরার দিন’ শিরোনামের নাটকটি রচনা করেছেন পরিচালক নিজেই।
নাটকের গল্প এগিয়েছে ভিন্ন ধরনের একটি গল্প সঙ্গী করে। যে গল্প মানুষকে বিনোদন দেয়ার চেয়ে ভাবনার অন্য জগতে নিয়ে যাবে। জীবনবোধ উপলব্ধি করতে শেখাবে।
‘পুরো জীবনেও কী কখনো নিজেকে পূর্ণভাবে খুঁজে পাওয়া যায়? হারিয়ে ফেলি আমরা কত কিছুই,নিজেকেও মাঝে মধ্যে। রহমান সাহেব তার অভিমানী মেয়ের জন্য মতিচুর লাড্ডু কিনতে গিয়ে হারিয়ে ফেললেন নিজেকে, আংশিক নয় পুরোটা। মেয়ে যখন বাবাকে খুঁজে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছে পুরো শহরের আনাচ কানাচ। রহমান সাহেব হয়ত তখন নিজেকে খুঁজে পেতে আশ্রয় নিয়েছেন সারাজীবন অচ্ছুৎ করে আসা কোন এক বারবণিতার বেড়ে দেয়া ভাতের প্লেটে। বয়ে চলে সময়, ছুটে চলে খোঁজাখুজি। সন্ধান মেলে জীবনের অদ্ভুত সব সত্যের।’
নাটকের কাহিনীকে এভাবে বর্ণনা করলেন রেদওয়ান রনি। তার মতে নাটকটি অন্যসব নাটকের থেকে আলাদা। গতানুগতিক নাটকের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছেন।
এই নাটকের মাধ্যমে দীর্ঘ চার বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন ঈশিতা। একসময়ে টেলিভিশনের জনপ্রিয় মখ থাকলেই ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নেন। মনযোগী হন ব্যবসাতে। এই নাটকটি হয়তো তার ভক্তদের জন্য কাঙ্ক্ষিত নাটক। যারা ঈদ উৎসবে তার নাটক দেখতে চেয়েছিলেন অনেক বছর ধরে তাদের জন্য এটি বাড়তি মাত্র যোগ করবে।
গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ঈশিতা ছাড়াও হাসান ইমাম,মৌসুমী হামিদ,লামিয়া আসাদ এবং বন্যা মির্জাসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।
চ্যানেল আইতে ঈদের ৪র্থ দিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রচার করা হবে।
সারাবাংলা/আরএসও