কেমন হলো লায়লা-মজনু
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:২৪
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
বহু বছর ধরে মানুষের মুখে মুখে ফিরছে লায়লা মজনুর অমর প্রেম কাহিনী। অতি পরিচিত এই মহাকাব্যকে উপজীব্য করেই সাজিদ আলি নির্মাণ করেছেন ‘লায়লা মজনু’ ছবিটি। ছবিটির প্রেক্ষাপট কাশ্মীর। যেখানে লায়লা একজন স্বাধীনচেতা মেয়ে। জীবনকে পুরোদমে উপভোগ করতে সে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এমনই এক সময়ে কোয়াইসের সঙ্গে দেখা হয় তার।
ধনী পরিবারের বখাটে ছেলে কোয়াইস। কিন্তু প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে যায় লায়লা। প্রেম ক্রমেই গাঢ় হতে থাকে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ক্রমেই তাদেরকে আলাদা করতে থাকে। শুরু হয় নতুন কাহিনী। যে কাহিনীর কোন শেষ থাকে না।
ছবিটি শুরু থেকে দেখলে বোঝা মুশকিল যে এটি পার্সি সাহিত্যের ‘লায়লা-মজনু’র কাহিনি। কিন্তু কোয়াইস চরিত্রটি দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে ‘মজনু’ হয়ে গেছেন, তাতে পরিচালক সাজিদ আলির মুন্সিয়ানা ও ইমতিয়াজের লেখার ছোঁয়াকে কৃতিত্ব দিতে হয়। গল্প নির্মাণেও আধুনিক ভাবনা উপহার দিয়েছেন পরিচালক সাজিদ আলি।
কোয়াইস চরিত্রে অভিনয় করা অবিনাশ তিওয়ারি এই ছবির সম্পদ। যেভাবে কোয়াইসের চরিত্রে তিনি এক মজনুকে ফিরিয়ে এনেছেন তা অনবদ্য। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তৃপ্তি। ছবির দ্বিতীয়ার্ধে দুজনের কাছেই অভিনয় দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ ছিল, আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন তারা। সঙ্গীত ছবির বিভিন্ন গান ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। সবশেষে কাশ্মীর উপত্যকার প্রেক্ষাপটে এক নিখাদ প্রেম কাহিনী তুলে ধরেছে ছবিটি।
সারাবাংলা/টিএস/এমআরপি