জাতীয় ঈদগাহে জানাজা, অন্তিম শয়ান চট্টগ্রামে
১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১২:২৮
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে। হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এ জানাজা হবে। এরপর শনিবার তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
শনিবার ভোরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জন্মস্থান চট্টগ্রামে। সেখানে আরেকটা জানাজার পর মায়ের কবরের পাশে অন্তিম শয়ানে বিদায় জানানো হবে তাকে।
আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আইয়ুব বাচ্চুর এক ছেলে ও এক মেয়ে বর্তমানে কানাডা রয়েছেন, তারা দেশে এলেই তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে, শুক্রবার জানাজার আগে সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে বারটা পর্যন্ত আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ রাখা হবে জাতীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ এই শিল্পীর প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানাবে। সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হবে জাতীয় ঈদগাহে। সেখানেই বাদ জুমা হবে আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম নামাজে জানাজা।
বাংলাদেশে পপ সঙ্গীত জগতের এই তারকা শিল্পী বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মৃত্যুবরণ করেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্কয়ার হাসপাতাল পরিচালক [মেডিকেল সার্ভিসেস] ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন। তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন ভক্ত-স্বজনরা।
বেলা সাড়ে এগারটায় ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন স্কয়ার হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮ আইয়ুব বাচ্চুকে তার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ড্রাইভার আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমরা তাকে মৃত অবস্থাতেই পাই। তারপরও ১৫ থেকে ২০ মিনিটি চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। পরে ৯ টা ৫৫ মিনিটে তাকে আমরা মৃত ঘোষণা করি।’
ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, তিনি বহুদিন হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২ সপ্তাহ আগেও তিনি চেকআপ করিয়ে গেছেন। এর আগে ২০০৯ সালে তার হার্টে রিং পড়ানো হয়। আর ২০১২ সালে ফুসফুসে পানি জমার কারণে এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে হয়েছিল আইয়ুব বাচ্চুকে।
সারাবাংলা/টিএস/এমএ/পিএ/আরএসও/জেডএফ