সজলের বদলে যাবার গল্প (ভিডিও স্টোরি)
৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:০০
খায়রুল বাশার নির্ঝর
সকালে বাড়ি থেকে বেরুনোর আগে, ছোট্ট বয়সের মতো, মা এখনও মনে করিয়ে দেন- ‘পাগলামি করিস না বাবা!’ শুনে একই রকমভাবে সজল হাসেন এবং বরাবরের মতো শুটিংয়ে ‘পাগলামি’ একটুও কমে না তার! শুটিংয়ের অবসরে যে সজলকে দেখা যায়, তিনি সারাক্ষণ হাসছেন। সেলফি তুলছেন। দুষ্টুমি করছেন টুকরো বিষয় নিয়ে এর ওর সঙ্গে। একটা ফাঁকা রিকশা পেয়ে হঠাৎ হয়তো নিজেই প্যাডেল ঘুরিয়ে চালিয়ে এলেন কিছুদূর!
এই সজল আবার যখন ক্যামেরার মুখোমুখি হন, পাল্টে যান একেবারে। মনে-মাথায় তখন চরিত্র, এক্সপ্রেশন, সংলাপ। অনেকে বলেন, সজলের মন খারাপ একটা রেয়ার দৃশ্য! কেউ যদি সজলকে গোমড়ামুখো হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে কখনও, বুঝে নেয়া উচিত হবে- সে একটি দুর্দান্ত মোমেন্ট আবিষ্কার করে ফেলেছে!
হয় না তো এমন সচরাচর। হলেও কখনও, সামলে নেন এতো নিপুণ দক্ষতায়, সেটার প্রভাব অন্দর ছেড়ে বাইরে ছড়ায় না। সজল এটা পারেন। যেমন পেরেছেন নিজেকে আমূল বদলে ফেলতে।
সজলের এই বদলানোর পেছনে রয়েছে অসংখ্য গল্প। প্রচুর আত্মবিশ্বাস। আর প্রতিদিন নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ! কবে, কখন মনে হলো এবার সময় পাল্টানোর? সজলের কথা শোনার আগে একটু পেছন থেকে ঘুরে আসা যাক।
যে সজলের গল্প আমরা করছি- গত কয়েকবছর ধরে তার গায়ে লেপ্টে ছিলো ‘টাইপকাস্ট’-এর ‘বদনাম’! প্রচুর নাটকে কাজ করতেন। যদিও সজলের আত্মপক্ষ সমর্থন, ‘ভালোবাসি বলেই করতাম।’ তবে মাঝে মধ্যে এটা জানাও খুব জরুরী হয়ে পড়ে যে, কোথায় গিয়ে থামতে হবে!
ফলে সজল থামলেন। বিরতি নিলেন। ওই অধ্যায়টা তার নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার। নতুন করে ভাবার। ফিরে এসে ২০১৭ জুড়ে পুরোটা বছর একের পর এক চমক দেখিয়ে গেছেন। দামি জিন্স-প্যান্ট-সানগ্লাস, ঝকঝকে ড্রইংরুমের আবহ থেকে নিজের চরিত্রকে টেনে বের করে ফেলেছেন নানান চ্যালেঞ্জে। শহুরে ভিক্ষুক, মহিষের গাড়িয়াল, মধ্যবিত্ত মুক্তিযোদ্ধা, সুবোধ স্কুলটিচার- সজল নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন অনেকভাবে।
চরিত্রকে নানামাত্রায় বয়ে নিয়ে যাওয়ার এই প্রচেষ্টা বছরজুড়ে প্রশংসিত করেছে তাকে। ওই সজলের মাঝে এই সজল যে লুকিয়েছিলো, সেটা হয়তো তার কাছের মানুষটিও টের পায়নি! সজল এখন খুঁজে চলেছেন সারাক্ষণ। যে চরিত্রগুলো তাকে ভাবাবে, কষ্ট করতে বাধ্য করবে।
https://www.youtube.com/watch?v=JTzHUfCDAMg
ছবি ও ভিডিও: নূর
সারাবাংলা/কেবিএন/তুসা