অভিনয় শিল্পী সংঘের সভায় দশ বিষয়ে গুরুত্বারোপ
৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:২৫
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।
দেশে টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে নাটকের সংখ্যা। প্রতিদিন চ্যানেলগুলোতে একাধিক নাটক প্রচারিত হয়। কথাগুলো সু-সংবাদের শোনালেও দুঃসংবাদ ভর করে আছে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির ওপর। ক্রমশ সংকটের বৃত্তের ঘুরপাক খাচ্ছে নাট্যশিল্প।
এই সংকটের মোড়ল হিসেবে কাজ করছে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। তাদের অপেশাদারিত্ব মনোভাব বাংলাদেশের নাটকের ওপর থেকে মানুষের আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। অচিরেই সংকট দূরীভূত না হলে নাটক বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় অভিনয় শিল্পী সংঘ এক মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘পেশাদারিত্বের সংকটে টেলিভিশন নাটক ও অভিনয়শিল্পী’। এসময় উপস্থিত ছিলেন অভিনয় শিল্প সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু, সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, হিল্লোল, আজাদ আবুল কালাম, চয়নিকা চৌধুরী, সুইটি, চিত্রলেখা গুহ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভায় দশটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এগুলো হলো:
- টেলিভিশন ও টেলিভিশন নাটককে শিল্প ঘোষণা করা
- সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব
- নাটকের মান নিয়ন্ত্রণে অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যর্থতা কিংবা উদাসীনতা
- নাটকে কতিপয় মধ্যস্বত্বভোগীদের হস্তক্ষেপ
- নাটকের মূল্য কমে যাওয়া
- চরিত্রাভিনেতাদের হারিয়ে যাওয়া
- বিজ্ঞাপন বাণিজ্য এবং তথাকথিত টিআরপি
- ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া (২০১৭ সালের জুলাইয়ে চুক্তি হয়েছিল)
- নাট্য নির্মাণে বহুমুখী নিম্ন প্রতিযোগিতা
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব।
এসব সমস্যাগুলো সমাধান হলে টেলিভিশন নাটকরে আগের মান ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এছাড়া শিল্পীদেরও ভালো কাজের প্রতি গুরুত্ব দেয়া বিষয়ে বলা হয়।
সারাবাংলা/আরএসও/টিএস
আরও পড়ুন : জন্মদিনে ভক্তদের ট্রেইলার উপহার দিলেন শাহরুখ