ভালোবাসার চিৎকারে অর্ণবকে স্বাগত জানালো দর্শকরা
১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩৭
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
‘তার নাম বলতে হয় না। সে যে বসে আছে একা একা- এই লাইনটি বললেই হয়’। আন্তর্জাতিক লোক সংগীত উৎসবের উপস্থাক সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রহমান জুয়েল কথাটি বলতেই চিৎকারে ফেটে পড়েন অনুষ্ঠানস্থলের দর্শক-শ্রোতারা।
এর আগেও ফোক ফেস্টে সংগীত পরিবেশন করেছেন অর্ণব। প্রতিবারই তার উপস্থিতি দর্শক-শ্রোতাদের দিয়েছে বাড়তি আনন্দ। আয়োজনের চতুর্থ আসরে অর্ণব মঞ্চে আসেন নয়টা বিশ মিনিটে। পাঁচ পরিবেশনার মধ্যে তিনি আসেন চারে। গিটার হাতে একাই মঞ্চে এসে সবাইকে চমকে দেন অর্ণব। মঞ্চে এসেই দর্শক-শ্রোতাদের বেঁধে ফেলেন ভালোবাসায়। নিজের সঙ্গে দর্শক শ্রোতাদের গান গাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। শ্রোতারা সারাও দেন অর্ণবের আহ্বানে।
দর্শক-শ্রোতা ও অর্ণব মিলে একসঙ্গে গান ‘সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর’ গানটি। গানটি শেষ হলে মঞ্চে আসে অর্ণবের সঙ্গতকারীরা। অ্যালবামে প্রকাশিত অর্ণবের গাওয়া বিভিন্ন সময়ের গান গেয়ে শোনান তারা। অর্ণব ছাড়াও এসময় গান পরিবেশন করেন লাবিক কামাল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে অর্ণবের পরিবেশনা।
এরপরেই আসবেন শাফকাত আমানত আলী। তার পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চতুর্থ ঢাকা আন্তর্জাতিক লোক সংগীত উৎসব। আয়োজন চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত।
চতুর্থ লোক সংগীত উৎসবে অংশ নিতে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে উড়ে এসেছে ব্যান্ড লাস মিগাস। তৃতীয় দল হয়ে তারা পরিবেশন করে তাদের গান ও সংগীত। মূলত নিজস্ব ছন্দের অনুপ্রেরণা থেকেই লাস মিগাসের এগিয়ে চলা। লাস মিগাসের সংগীতকে নির্দিষ্ট কোনো ঘরনায় আখ্যায়িত করা যায় না।
তবুও তাদের ব্যান্ড সদস্য রসার লসকসের ভায়োলিনের বিশেষ কদর রয়েছে সোপন ও স্পেনের বাইরে। ব্যান্ডটির সদস্য সংখ্যা চারজন। তাদের ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা, মতাদর্শ এক করে তৈরি হয় তাদের সংগীত।
লোক সংগীত উৎসবে তাদের গিটার ও ভায়োলিনের বিশেষত্বের প্রমাণ পাওয়া গেল। হর্ষ ধ্বনিতে লাস মেগাসের সংগীতের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ করেন দর্শক শ্রোতারা।
ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত
সারাবাংলা/পিএ/এমও