শমীর গল্পে মুক্তিযুদ্ধের নাটক
২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:০৫
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
শহীদুল্লা কায়সার, অভিনেত্রী শমী কায়সারের বাবা । মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় অপরাধ সহযোগিদের হাতে শহীদ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের একজন তিনি। বাবার অন্তর্ধানের স্মৃতি নিয়ে বড় হওয়া শমী এবার লিখেছেন একটি নাটকের গল্প। ‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’ শিরোনামের সেই গল্পে উঠে এসেছে বুদ্ধিজীবী হত্যার হৃদয় বিদারক চিত্র।
‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’ গল্প অবলম্বন করে নাটকটি নির্মাণ করছেন চয়নিকা চৌধুরী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন আবুল হায়াত, শর্মিলী আহমেদ, শমী কায়সার, মাহফুজ আহমেদ, আজম খান এবং শিশুশিল্পী নাদীভ।
‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’ নাটকটি শমী লিখেছেন তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে। চেষ্টা করেছেন গুমোট সেই সময়টিকে সত্যের মতো করে তুলে ধরতে। এ প্রসঙ্গে শমী কায়সার বলেছেন, ‘নাটকটির বেশির ভাগ ঘটনাই সত্য, এর সঙ্গে কিছু কল্পনা মিশিয়েছি। আমার নিজের পরিবার সেই সময়ে আক্রান্ত হয়েছে, সেই আবেগটাও ভালোভাবে উঠে এসেছে নাটকে।’
শমী আরও বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর, যেদিন বাবাকে ধরে নিয়ে যায়, সেদিনটিকে কখনো ভুলবো না। এ দেশের মানুষকে নাটকের মাধ্যমে সেটিই জানানোর চেষ্টা করেছি কেবল।’
‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, একাত্তরে পাকিস্তানিরা বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে যাওয়ার সময় শমীর বাবাকেও ধরে নিয়ে যায়। এরপর তার বিয়ে হয় ধনী পরিবারে। যারা কিনা ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-গহনার বাইরে আর কিছুই চিন্তা করে না। শমীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তিযুদ্ধকে উপেক্ষা করে উল্টো ‘গণ্ডগোল’ বলে আখ্যায়িত করে। এদিকে তার শ্বশুর ছিল রাজাকার। প্রতি বছর এ দিনেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়িতে নানা রকম পার্টি করে। তবে তার স্বামী সব সময় তার পাশে থেকে সহযোগিতা করে।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নাটকের গল্পের পাশাপাশি শমীর অভিনয়েরও প্রশংসা করেছেন। তার মতে, ডিসেম্বরে ১৪ তারিখের আবেগকে বেশ ভালোভাবে তুলে ধরবে ‘সাড়ে তিন খানা চিঠি’। সেদিন চ্যানেল আইয়ে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে নাটকটি দেখানো হবে।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম