উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে আমজাদ হোসেন
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৩৪
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান তার সঙ্গে গেছেন।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল আটটায় তারা ব্যাংকক গিয়ে পৌঁছাবে।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ব্যাংকক থেকে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে আসেন। এরপর তারা আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হলে, গুরুতর অবস্থায় আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমদিন থেকেই তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে।
২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।
বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন।
গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
সারাবাংলা /পিএ