নির্বাচনী ইশতেহারে থাকুক হল নির্মাণের পরিকল্পনা : শাকিব খান
৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৫৬
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
গুনতে গুনতে ফুরিয়ে গেল আরও একটি বছর। যাচ্ছে বছরের এই শেষ দিনগুলোতে হিসেব মেলাতে ব্যস্ত সবাই। দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান অবশ্য পিছু ফিরে তাকাতে নারাজ। যা কিছু হয়ে গেছে তার সবকিছু শেষ। সামনে যা আছে তা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান তিনি। দেশে এখন নির্বাচনের ডামাডোল। রাজনৈতিক দলগুলোে ইশতেহারের মাধ্যমে জানাচ্ছেন তাদের পরিকল্পনা। সেই তালিকায় অনেক কাজের মধ্যে চলচ্চিত্রের জন্যও কিছু থাকুক, এমনটা প্রত্যাশা করেন শাকিব খান। একই সঙ্গে অপেক্ষা করছেন নতুন বছরে নতুন করে নিজেকে ঢেলে সাজানোর।
একটি বেসরকারী টেলিকম কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের দৃশ্যধারণের ফাঁকে সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে শাকিব বলেছেন, ‘নতুন বছর আশীর্বাদ স্বরুপ। এ বছর যেমন কাজ করেছি, পরের বছর চেষ্টা করব এর চেয়েও ভালো কিছু করার। ভালো গল্পের এবং ভালো পরিচালকদের সিনেমায় যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করব। অনেক সিনেমা করেছি। আরও অনেক সিনেমা করব। সেগুলো যেন সত্যিকারের ভালো সিনেমা হয় সেটা আসছে বছর থেকেই খেয়াল রাখব।’
গেল বছরে শাকিব খান বেশ কয়েকটি ব্যবসা সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে ‘সুপারহিরো’, ‘ভাইজান এলো রে’, ‘চালবাজ’ সিনেমায় তার অভিনয় দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ওপার বাংলাতেও বেড়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা।
পরের বছর কি শাকিব যৌথ প্রযোজনার সিনেমা বেশি করতে চান? নাকি বাংলাদেশি ছবিতেই তাকে বেশি দেখা যাবে? শাকিব বলেন, ‘কে প্রযোজনা করবে সেটা বিষয় নয়, সিনেমাটা কেমন হবে সেটা জরুরী। বাংলাদেশে এখন প্রচুর ভালো সিনেমা হচ্ছে। আমার নির্মাতারা অনেক মেধাবী। নিজের দেশের নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করতেও ভালো লাগে। তবে ওপারেও ভালো কিছু কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। আমার কাছে সব ছবিই সমান।’
শাকিব বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রধান সংকট হলো প্রযুক্তির ব্যবহার। টেকনিশিয়ান যারা আছে তারা তো আর ইন্টারনেটে সার্চ করে কিংবা ইউটিউব থেকে দেখে টেকনোলোজির ব্যবহার শিখতে পারবে না। এর জন্য প্র্যাকটিস দরকার। জানার আগ্রহ থাকতে হবে। শেখার কোনো ভালো প্রতিষ্ঠান নেই আমাদের। তাই টেকনিক্যাল দিক থেকে আমরা পিছিয়ে। কিন্তু কলকাতার ওরা এদিক থেকে অনেক এগিয়ে। টেকনিক্যালি রিচ করতে পারলে ভালো কাজ হবে। আর কাজ ভালো হলে আলোচনা এমনিতেই হবে।’
দেশের শীর্ষ নায়ক হয়ে সরকারের কাছে এমন প্রস্তাবনা জানিয়েছেন কখনও? শাকিব বলেন, ‘অনেকবারই বলেছি। চলচ্চিত্র এফডিসি নির্ভর, সরকার নির্ভর। তাই এইদিকটাও সরকারকে দেখতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমার দাবি, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে কমপক্ষে ৬৪ জেলায় একটি করে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করে দেওয়ার প্রস্তাবনা থাকুক। সবকিছু আপগ্রেড হলেও আমাদের সিনেমা হলগুলো আগের অবস্থায় রয়েছে। তাই সরকারের কাছে আমার দাবি থাকলো ২০০ কিংবা ৫০০ কোটি টাকা না, অ্যাটলিস্ট প্রতি জেলায় একটি করে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করে দেয়া হোক।’
সারাবাংলা/টিএস/পিএ