‘আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে প্রিয়জন হারানোর ব্যথা পেয়েছি’
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:১৩
।। এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সবেমাত্র নির্বাচনী জনসংযোগ শেষ করেছেন নায়ক ফারুক। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আকাশচুম্বী ভালোলাগা তো আছেই। কিন্তু সেই ভালোলাগা যেনো মুহূর্তেই বিষাদে রূপ নিলো একটি খবরে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন প্রয়াত হয়েছেন। নায়ক ফারুক যেন কিছুটা থমকে গেলেন।
দুঃখ মিশ্রিত কণ্ঠে ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি জনসংযোগে ব্যস্ত ছিলাম। তখন একজন সাংবাদিক আমাকে আমজাদ হোসেনের মৃত্যু খবরটি দেন। খবরটি শুনে আমি কিছু সময়ের জন্য চুপসে যাই। আমি আশায় বুক বেঁধে ছিলাম। ভেবেছিলাম আবার তার সঙ্গে কথা হবে।’
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন ফারুক। এই দীর্ঘশ্বাস হয়তো তাকে মনে করিয়ে দিয়েছে সেই সত্তরের দশকের কথা। ওই দশকেই তিনি আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমনি’ এবং ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ নামে দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। দুটি সিনেমাই প্রচন্ড ব্যবসা সফল। শুধু ব্যবসাই নয়, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবিটি ১৯৭৮ সালের সালের সেরা চলচ্চিত্রসহ পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা এবং গীতিকার বিভাগে পুরস্কার তুলে নেয়।
সেকারণেই হয়ত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবির নায়ক ফারুক তার পরিচালক আমজাদ হাসেনকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে কিছুটা সময় নিলেন। তারপর বললেন, ‘আমজাদ হোসেন যে কতো বড় মাপের মানুষ তা বলে বোঝানো যাবে না! আর তাকে নিয়ে কথা বলার সাহসও আমার নেই। অসাধারণ গুণী একজন মানুষ ছিলেন। আমি তার দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছি। “নয়নমনি” একং “গোলাপী এখন ট্রেনে”। সিনেমা দুটি অনেক জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি ধরে ধরে গুছিয়ে কাজ করতেন। তার সঙ্গে কাজ করেছি বলে তার মৃত্যুর সংবাদ মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মৃত্যুতে প্রিয়জন হারানোর ব্যথা পেয়েছি। অনেকে আমজাদ হোসেনকে ছোট করতে চাইতো। এখন তারা বুঝবে তিনি কি ছিলেন!’
ফারুক আরও বলেন, ‘আমজাদ হোসেন অসুস্থ হওয়ার দুই দিন আগে আমার সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন সে আমাকে জানিয়েছিলেন, প্রেসার হলে নাকি তিনি ঔষধ খান না এখন। আমি তাকে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে বলেছিলাম। আমাদের চলচ্চিত্রপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও চেয়েছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক। কিন্তু আসলেন না! অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে আমাদের।’
চিত্রনায়ক ফারক মনে করেন আমজাদ হোসেন চলে যাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। তার মতে, আমজাদ হোসেন মৃত্যুবরণ করেননি। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ