।। এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেন প্রয়াত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। তারপর থেকে তার আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা উদগ্রীব হয়ে আছে প্রিয় মানুষটিকে শেষবারের মতো দেখার জন্য।
আরও পড়ুন : ‘শরীরের ক্যান্সার দূর করা যায়, মনের ক্যান্সার দূর করা যায় না’
তবে কবে নাগাদ ব্যাংকক থেকে আমজাদ হোসেনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি! তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলও দিতে পারলেন না নির্দিষ্ট কোনো তথ্য। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংককের সরকারি ছুটির কবলে পড়েছি আমরা। ওখানে শনিবার ও রাবিবার ছুটি থাকে। মৃতদেহ এক দেশ থেকে অন্যদেশে নিতে অনেক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেজন্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারছিনা যে কবে নাগাদ বাবার মৃতদেহ দেশে আনতে পারবো! তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যতো দ্রুত সম্ভব দেশে আনতে।’
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হলে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমদিন থেকেই তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। এরপর ২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন। ২৮ নভেম্বর এয়ার এম্বুলেন্স যোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে।
এদিকে আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএম