Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনের মরদেহ, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা


২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:০৮

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

সর্ব স্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়েছে। শনিবার বেলা এগারোটার কিছু পরে আমজাদ হোসেনের মরদেহ শহীদ মিনারে এসে পৌঁছে। এসময় সাধারন মানুষ ছাড়াও সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিপুল সংখ্যক মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উপস্থিত হন।

শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, লায়রা হাসান, মামুনুর রশীদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রামেন্দু মজুমদার, ফকির আলমগীর, মোরশেদুল ইসলাম, কেরামত মাওলা, সালাউদ্দিন লাভলু, রোকেয়া প্রাচী, জাসাস-এর সাধারন সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান।

এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বাংলা একাডেমি, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ, জাসাস সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শহীদ মিনারের শ্রদ্ধা শেষে আমজাদ হোসেনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা কার্যালয়ে। সেখানে নেয়া হবে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে। তারপর চ্যানেল আই কার্যালয় হয়ে আমজাদ হোসেনকে তার গ্রামের বাড়ি নেয়া হবে। সেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাংলা চলচ্চিত্র এবং সাহিত্যের অসম্ভব গুণী মানুষ আমজাদ হোসেন।

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমদিন থেকেই তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। ২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।

বিজ্ঞাপন

উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৮ নভেম্বর রাতে আমজাদ হোসেনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানেই এতদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল আমজাদ হোসেনের। ব্রেন স্ট্রোকের কারণে তৈরি হওয়া জটিলতা ছাড়াও শরীরের বাইরে এবং ভেতরে ইনফেকশন ছিল তার।

খ্যাতিমান অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মন দেন। জহির রায়হানের কালজয়ী ছবি ‘জীবন থেকে নেয়া’র চিত্রনাট্য লিখে তুমুল আলোচনায় আসেন তিনি। আমজাদ হোসেন পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন।

গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।

এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন গুণী এই মানুষটি।

ছবি : আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/পিএম

আমজাদ হোসেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ড. আখতারুজ্জামান নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু মামুনুর রশীদ রামেন্দু মজুমদার রোকেয়া প্রাচী লায়রা হাসান সালাউদ্দিন লাভলু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর