Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে নিরন্তর


২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:০০

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

দেশ বরেণ্য চলচ্চিত্রকার, সাহিত্যিক, গীতিকার আমজাদ হোসনে শেষ বিদায় জানাতে শহীদ মিনারে এসেছিলেন শিল্প-সাহিত্যাঙ্গনের অনেকেই। বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে তারা ব্যাখ্যা করেছেন আমজাদ হোসনকে। তার সম্পর্কে নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট জনেরা।

সোহেল আরমান, আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে

সব কিছু মিলিয়ে সন্তান হিসেবে গর্ব বোধ করছি। সাবাই বাবাকে ভালোবাসেন জানতাম কিন্তু এত ভালোবাসেন আগে জানা ছিল না। একদিন সবাইকেই মারা যেতে হবে, বাবাও মারা গেছেন, কিন্তু তার চিকিৎসাসহ, দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যা করেছেন, তা আমি ও আমার পরিবার কোনোদিন ভুলবনা। প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

নাট্য ও চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষরা যেভাবে আমাদের পাশে থেকেছেন তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুধু দেশেই নয়, যখন বাবা ব্যাংককে ছিলেন, সেখানকার বাঙালিরা প্রতিনিয়ত হাসপাতালে আসতেন। তাদেরকে আমি কাঁদতে দেখেছি।

আমরাও বাবাকে মাটির মানুষ হিসেবে পেয়েছি। বাবার অনেক কথাই আমরা জানি। সেই বিষয়গুলো আমরা পরিবারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

আমজাদ হোসেন তার নির্মাণ দিয়ে সামাজিক অসঙ্গতির কথা তুলে ধরতেন। দেশের স্বাধীনতা পূর্ব ও উত্তর সময়ে তার লেখা চিত্রনাট্য তার নির্মিত নাটক-সিনেমা দেশের মানুষকে উদ্বেলিত করেছে। একসময় আমজাদ হোসেন নির্মাণে নিজস্বতা তৈরি করতেও সক্ষম হয়েছেন।

আমজাদ হোসেন বহুগুণের অধিকারী। তিনি যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ না করে শুধু সাহিত্য রচনা করতেন, তাহলেও বাংলা সাহিত্যাঙ্গন একজন উজ্জ্বল সাহিত্যিক পেত।

বিজ্ঞাপন

আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ রাখা হয়েছে শহীদ মিনারের পাদদেশে। এই শহীদ মিনারের জন্যই একসময় তার কলম গর্জে উঠেছিল। তিনি যৌথভাবে লিখেছিলেন ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির চিত্রনাট্য। এই ছবিতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি প্রথমবারের মতো একটু নতুন করে উপস্থাপন করা হয়।

এখন আমরা আমজাদ হোসেনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কিন্তু তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা থাকবে নিরন্তর।

রামেন্দু মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

আমজাদ হোসেন তার কাজের মাধ্যমে দেশ ও দেশের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। এক সময় ঈদ মানেই জব্বর আলীর নাটক। আর সেই নাটকের মাধ্যম তিনি সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরতেন।

একটা বিষয় না বললেই না, সেটা হলো, তিনি মতাদর্শিকভাবে বা ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গায় আমার থেকে ভিন্ন ছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। ভালো কাজের সঙ্গে, দেশের ভালোর জন্য আমরা সবসময় এক ছিলাম।

সালাহউদ্দিন লাভলু, নির্মাতা

আমজাদ হোসেন দেশ বরেণ্য চলচ্চিত্রকার। তিনি আসলে একটি প্রতিষ্ঠান। না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার আগে আমাদের জন্য, এ দেশের জন্য তিনি অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। আরও দিতে পারতেন। তার কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে আমজাদ হোসেন বেঁচে থাকবেন।

সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে আমরা শিল্পাঙ্গনের বেশ কয়েকজনকে হারালাম। সবার জন্য দোয়া রইল। আর আমার মনে হয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনেরও মন কাঁদছে।

এস এ হক অলীক, নির্মাতা

আমজাদ হোসেন আমার গুরু, তার কাছেই লিখতে শিখেছি, নির্মাণ শিখেছি। দায়িত্ববোধের জায়গাটা তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন। তাই তাকে গুরুর চেয়েও বেশি কিছু মনে হয় আমার। তিনিও আমাকে সহকারী হিসেবে দেখতেন না। সন্তানের মতোই আচরণ পেয়েছি তার কাছ থেকে।

বিজ্ঞাপন

রোকেয়া প্রাচী, অভিনেত্রী

আমজাদ হোসেনের চলে যাওয়া চলচ্চিত্রের জন্য বিশাল ক্ষতি। কেন ক্ষতি, কারণ, তিনি এমন একজন চলচ্চিত্রকার যিনি পরিচালনা, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং গীত রচনায় সম্মৃদ্ধ ছিলেন। আমার মনে হয় তিনি পুরোপুরি চলচ্চিত্রের মানুষ এবং সম্মৃদ্ধ একজন পরিচালক।

সারাবাংলা/এএসজি/পিএ/পিএম


আরও পড়ুন :

.   আইসিইউতে টেলি সামাদ

.   শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনের মরদেহ, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা


আমজাদ হোসেন শেষ শ্রদ্ধা

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর