হিল্লোল দিচ্ছেন খাবারের খোঁজ
১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:০৭
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
ধরা যাক, ঢাকা শহরের কোনো এক রেস্টুরেন্ট চুঁইঝালের জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। ফুডলাভাররা যাচ্ছেন, পছন্দ করছেন। আবার, খাবারের দামও হাতের নাগালে। ওটাই হবে অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলের টার্গেট।
রেস্টুরেন্টটিতে তিনি যাবেন। তাকে ফলো করবে ক্যামেরা। নিজে খেয়ে দেখিয়ে দেবেন নির্দিষ্ট মেন্যুটি কতোটা সুস্বাদু! জানিয়ে দেবেন দাম। শুধু তাই-ই নয়, এই চুঁইঝাল কোত্থেকে এলো, কোন অঞ্চলে বিখ্যাত, প্রথম কোন খাবারের হোটেল থেকে ওই মেন্যুটি ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছিলো- হিল্লোলের গবেষণালব্ধ জ্ঞান ভাগাভাগি হবে দর্শকদের সঙ্গেও।
‘ডাইন আউট উইথ আদনান’-এ এমন আইডিয়া নিয়েই কাজ হচ্ছে। নতুন টিভি অনুষ্ঠান? উঁহু, অনুষ্ঠান বটে কিন্তু মোটেই টিভি চ্যানেলের জন্য নয়। হিল্লোলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘আদনান ফারুক’-এ নিয়মিত আপলোড হচ্ছে অনুষ্ঠানটির পর্বগুলো।
হিল্লোল বলছেন, ‘আমরা ফুড এবং ট্রাভেলকে একসঙ্গে ব্লেন্ড করছি এ অনুষ্ঠানে।’ কী রকম সেটা? ইতোমধ্যে আপলোড হয়ে গেছে এমন একটি পর্ব থেকে উদাহরণটা দেয়া যাক।
ঢাকা থেকে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটারের পথ টঙ্গীর মীরেরবাজার। ওখানে ধীরেনবাবু সুইটস বলে যে রেস্তোরাঁটি আছে, সেখানে সকালের নাস্তাটা বেশ সুস্বাদু। সঙ্গে একজন ক্যামেরাম্যান নিয়ে হিল্লোল বাইক চালিয়ে ছুটলেন। পথিমধ্যে ঢুঁ দিয়ে গেলেন আব্দুল্লাহপুরের বিরাট মাছের বাজারে। নাস্তার মেন্যু জানা হলো, দেখা হলো বাজারটাও।
অথবা আরেকটি পরিকল্পনা দিয়েও বোঝানো যেতে পারে খাবার এবং ভ্রমণের ব্লেন্ডিংটা কী রকম হবে! হিল্লোল বলছিলেন, ‘দুই দিনের একটা খুলনা ট্রিপ দেবো। সকালে হোটেল আল রাজ্জাকে ব্রেকফাস্ট করে মাওয়া হয়ে টুঙ্গিপাড়া। বঙ্গবন্ধুর মাজার কমপ্লেক্স দেখিয়ে খুলনা গিয়ে ট্রিপ শেষ হবে। পরদিন আবার বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ গেলাম। দুপুরে সেখান থেকে ফিরে চুঁইঝালের মাংস খেলাম। পরদিন আরিচা হয়ে ঢাকা ফিরবো।’
শুধু তাই নয়, খাবারের খোঁজে যাবেন তারা কলকাতায়। থাইল্যান্ডে। ২০১৮ সালে এ রকম ১০০টি ভিডিও তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন আদনান ফারুক হিল্লোল। বলছিলেন, ‘১৬ থেকে ৪৫ বয়সী ছেলে এবং মেয়ে, যারা মধ্যবিত্ত, এরাই এ অনুষ্ঠানের টার্গেট অডিয়েন্স।’
সারাবাংলা/কেবিএন/পিএম