Wednesday 02 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বলিউড কখনোই শিল্প কিংবা শিল্পীর বিরুদ্ধে নয়’


১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:০১ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:০৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।। 

সারা পৃথিবীতেই জনপ্রিয় বলিউডি সিনেমা। দক্ষিণ এশিয়া কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের মতো না হলেও ইউরোপ-আমেরিকাতেও শাহরুখ-সালমান বেশ পরিচিত নাম। তাদের অভিনয়ের সঙ্গেও কম বেশি পরিচয় রয়েছে সবার। পরিচয় রয়েছে ভারতীয় সিনেমার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গেও।

কিভাবে বলিউড ছড়িয়ে পড়ল সারা দুনিয়ায়? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল হিন্দি সিনেমার পরিচালক হরিশ ব্যাসের কাছে। সারাবাংলাকে তিনি বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র সম্পর্কে শিক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান এবং কাজের প্রতি একাগ্রতার কারণেই হিন্দি সিনেমা আজকের জায়গায় এসে পৌঁছেছে।’

হরিশ ব্যাস আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ১৭তম আসরে। এবার উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে তার নির্মিত ‘আংরেজি মে কেহতা হ্যায়’ ছবিটি। সঞ্জয় মিশ্র ও পঙ্কজ ত্রিপতি অভিনীত এই ছবিটি এবার আলোচিতও হয়েছে বেশ। সিনেমা প্রদর্শন শেষে হরিশের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার। সেখানে বাংলাদেশের মানুষদের আতিথেয়তা সম্পর্কে নিজের মুগ্ধতাও প্রকাশ করেছেন এই নির্মাতা।

বিজ্ঞাপন

হিন্দি সিনেমা প্রসঙ্গে হরিশ বলেন, ‘নতুন ও সুন্দরকে আপন করে নেয়ার একটি প্রবণতা রয়েছে ভারতীয় নির্মাতাদের। প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটা পুরোপুরি খাটে। এছাড়াও দেড়শ কোটি মানুষের স্থায়ী একটি বাজার রয়েছে আমাদের। সিনেমায় লগ্নি করা হয়েছে প্রচুর। ফলে হিন্দি সিনেমা প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে। সেই সঙ্গে সিনেমাপ্রেমী জাতি হিসেবেও ভারতকে পরিচিত করতে পেরেছে।’

সাম্প্রতিক সময়ের ওয়েব কালচার নিয়েও কথা বলেন হরিশ। বিশেষ করে নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এই নির্মাতা। জানান, আর দশ বছর পরে হয়তো বোম্বের সিনেমা হলের সংখ্যা দশে নেমে আসবে কারণ লোকজন সিনেমা দেখবে ওয়েবে।

হরিশ বলেন, ‘এই জায়গাতেও ভারতীয় নির্মাতারা সময়ের সঙ্গে চলার চেষ্টা করছেন। যেকারণে নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজনের মতো দানবাকৃতির প্রতিষ্ঠানগুলো এখন হিন্দি সিনেমায় লগ্নি করছে। সিনেমা একটা সময় হলে দেখবে না মানুষ। বোম্বেতে হলের সংখ্যা দশে নেমে আসবে। সবাই ওয়েবমুখী হবে। তবে প্রেক্ষাগৃহে হয়তো রোবট বা বাহুবলীর মতো ছবিগুলো চলবে। কারণ বড়পর্দায় দেখার আনন্দ।’

নতুন শিল্পী বা কলাকুশলীদের ব্যাপারে বলিউড কি সহায়ক মনোভাব রাখে? তাদের শিল্পী সমিতি কেমন? হরিশ বলেন, ‘আমাদের শিল্পী সমিতি আছে, পরিচালক সমিতিও আছে। তবে আমাদের সিনেমা সংস্কৃতিতে নতুনদের সহায়তা করার প্রবণতা বেশি। আমরা সিনিয়রদের যে সম্মানটুকু দেই, নতুনদেরকে তেমনই সহায়তাও করি। কারণ মেধাবী নতুনরা না এলে ইন্ডাস্ট্রি টিকবে না। আর আমাদের সমিতিগুলোও সবসময় শিল্পী ও নির্মাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে থাকে। এরা কখনোই শিল্প কিংবা শিল্পীর বিরুদ্ধে নয়।’

প্রসঙ্গত, গেল বছর বলিউডে মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত চলচ্চিত্র ‘আংরেজি মে কেহতা হ্যায়’। সমালোচক মহলে দারুণ সাড়া ফেলা এই ছবি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উৎসবেও সুনাম কুড়িয়ে চলেছে। জিতেছে পুরস্কারও।

সারাবাংলা/টিএস/আরএসও

অ্যামাজন আংরেজি মে কেহতা হ্যায় নেটফ্লিক্স পঙ্কজ ত্রিপতি সঞ্জয় মিশ্র হরিশ ব্যাস