পরিচালক সমিতির কাছে ‘অনিয়ম’ বন্ধের প্রত্যাশা প্রযোজকদের
২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৫০
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আর কিছুক্ষণ বাদেই জানা যাবে দৃশ্যগল্পের নির্মাতাদের এই সংগঠনটির নেতৃত্বে আসছেন কারা। কারা নির্ধারণ করবেন ২০১৯-২০ মৌসুমে বাংলা চলচ্চিত্রের গতিপ্রবাহের কিছু অংশ।
বাংলা চলচ্চিত্রে নিয়মিত অর্থলগ্নি করে আসছেন এমন বেশ কয়েকজন প্রযোজকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পরিচালক সমিতির নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন তারা? নতুন কমিটির কাছে তাদের প্রত্যাশা কি?
সারাবাংলার এই প্রশ্নে ‘সুজন সখী’ খ্যাত প্রযোজক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘পরিচালক সমিতির দায়িত্বে ভালো লোক চাই আমরা। মামলার কারণে আমাদের প্রযোজক সমিতির নির্বাচন বন্ধ হয়ে আছে। আমার তো চাইবো চলচ্চিত্রের নেতৃত্বে যেন ভালো মানুষেরা আসে। তাদের হাত ধরে যেন শিল্পের উন্নতি হয়।’
প্রায় অর্ধযুগে চল্লিশেরও অধিক সিনেমা নির্মাণ করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। পরিচালক সমিতির নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘নতুন কমিটি এসে যেন অনিয়ম দূর্নীতি, চাঁদাবাজি বন্ধ করে। প্রযোজকদের স্বার্থহানী করে যেসব কর্মকাণ্ড হয়েছে সেসব যেন বন্ধ করে। সেই সঙ্গে যৌথ প্রযোজনা ও আমদানির বিষয়ে যেন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়।’
এ সময় দেশীয় সিনেমার নির্মাণ কমে যাওয়া এবং শিল্পীদের বেকারত্ব বাড়া প্রসঙ্গে পরিচালক সমিতির গত কমিটির ‘ভুল সিদ্ধান্ত’কেও দায়ি করেন আজিজ।
দেশীয় সিনেমার আরেক পরিচিত প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল। শাকিব খান অভিনীত ‘শ্যুটার’ ছবিতে অর্থলগ্নি করেছিলেন তিনি। পরিচালক সমিতির নির্বাচন নিয়ে ইকবাল বলেন, ‘দেশে সিনেমা নির্মাণ অনেক কমে গেছে। শিল্পীদের কাজ কমে গেছে। দেশে এখন আমদানি করে সিনেমা দেখাতে হচ্ছে। আমি চাই এমন কেউ নির্বাচিত হোক যে ষড়যন্ত্র না করে সিনেমার হয়ে কাজ করবে।’
আমদানি করা সিনেমা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ইকবাল বলেন, ‘এর জন্য পরিচালক সমিতির বর্তমান কমিটি দায়ি। শিল্পী সমিতি দায়ি। তারা রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করে যে নীতিমালা করেছে সেটার কারণে আমাদানি করে সিনেমা দেখাতে হচ্ছে। আগে যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় আমাদের অনেক শিল্পী কাজ করতে পারতো। টেকনিশিয়ান কাজ করতে পারতো। এখন কিন্তু টেকনিশিয়ানও কাজ করতে পারে না, শিল্পীও কাজ করতে পারে না। এর জন্য দায়ি কারা? এর জন্য শতভাগ দায়ি এই শিল্পী সমিতি আর পরিচালক সমিতি। এরা যে এতো কথা বলে তাহলে ছবি বানায় না কেন?’
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু অবশ্য বেশ ‘পজিটিভ’ পরিচালক সমিতির আগের কমিটি নিয়ে। তিনি মনে করছেন, আগের কমিটি ভালো ও মন্দের খবর জানা যাবে ভোটের ফলপ্রকাশের পর। তিনি বলেছেন, ‘নতুন কমিটির কাছে চাওয়া তারা যেন শিডিওল ফাঁসানো নিয়ে কঠোর অবস্থানে যায়। সেই সঙ্গে বাংলা সিনেমার হয়ে কাজ করে। আমদানি করে সিনেমা বাঁচানো যাবে না। সিনেমা বাঁচাতে হলে লোকাল কাজ লাগবে। এজন্য পরিচালক সমিতিকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।’
সারাবাংলা/টিএস/পিএ
আব্দুল আজিজ ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ খোরশেদ আলম খসরু পরিচালক সমিতির নির্বাচন মোহাম্মদ ইকবাল