লাইফ সাপোর্টে তৃতীয় দিন, নেই উন্নতি
২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩১
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
লাইফ সাপোর্টে আছেন দেশবরেণ্য সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। টানা তৃতীয় দিনের মতো লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই। তেমনটাই জানালেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
ডা. আশীষ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তৃতীয় দিনের মতো লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে আলাউদ্দিন আলীকে। তেমন কোনও উন্নতি চোখে পড়ছে না। কখনো কখনো মনে হচ্ছে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বরা সম্ভব না। সেজন্যই আমরা বলছি তিনি শঙ্কামুক্ত নন।’
এর আগে ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, আলাউদ্দিন আলীর শরীরে সেফটিক শক নামের একটি সমস্যা রয়েছে যার কারণে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ছে, অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে এমনকি অস্থিরতাও রয়েছে। তাছাড়া তিনি ২০১৫ সাল থেকে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছেন। এগুলো তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণ।
নিউমোনিয়া ও আগের কিছু শারীরিক অসুস্থতার বেড়ে গেলে ২২ জানুয়ারি আলাউদ্দিন আলীকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
আলাউদ্দিন আলী দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক। তিনি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবির সংগীত পরিচালনাও করেছেন আলাউদ্দিন আলী।
আলাউদ্দিন আলী’র সুর করা জনপ্রিয় গানের মধ্যে আছে- একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, হয় যদি বদনাম হোক আরো, আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার, সুখে থাকো- ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে, পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম