Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মীরা: নতুন নৃত্যনাট্যে নৃত্যাঞ্চল


১২ মার্চ ২০১৯ ২২:৫৮

।। আশীষ সেনগুপ্ত ।।

এই সংসারে ভক্ত ও প্রেমীদের সম্পর্ক জগতের শুরু থেকেই আলাদা। প্রেমী সবসময় ঈশ্বরের ভাবনায় নিরন্তর ডুবে থাকেন। কেউ তাদের পাগল ভাবেন, কেউ মাতোয়ারা। চিন্তায়, চেতনায় শুধুই পরম প্রভুর উপলব্ধি। এদের নেই কোনো জাত, কোনো মতবাদ। এদের একটিই রূপ— কেবল ঈশ্বর প্রেম। এমনই একজন প্রভুর প্রেমে মাতোয়ারা মীরাবাঈ।

মীরা নামেই খ্যাত মরমীয়া এই সাধিকা কৃষ্ণ প্রেমে সম্পূর্ণ সমর্পিত করেছিলেন নিজেকে, নিজের জীবনকে। কৃষ্ণ প্রেমে নিজেকে উজার করে দেওয়া মানুষের অভাব নেই। কিন্তু তাদের মধ্যেও একেবারেই বিরল এই মীরাবাঈ। আজ থেকে ৫০০ বছর আগে একজন সাধারণ নারী যে কীর্তি গড়ে গেছেন, তা আজও চির অমর হয়ে আছে। তার কীর্তিই তাকে দিয়েছে এক অনন্য মর্যাদা। ১৪৯৮ সালে ভারতের রাজস্থানের অভিজাত হিন্দু পরিবারে জন্ম নেওয়া এই অতিন্দ্রিয়বাদী ও সহজিয়া ভক্ত রচনা করে গেছেন বারশ থেকে তেরশ ভজন। আর এর প্রতিটিরই মর্মে মর্মে প্রবাহমান কৃষ্ণের প্রতি তার প্রেম ও বিরহ গাথা।

এমনই এক মরমিয়া সাধিকাকে নিয়ে বাংলাদেশের স্বনামধন্য নৃত্য সংগঠন ‘নৃত্যাঞ্চল’ প্রযোজনা করছে এক নৃত্যনাট্য, যার নাম ‘মীরা’। এর ভাবনা কোরিওগ্রাফি ও পরিচালনায় রয়েছেন সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। যিনি গুরু বিপীন সিং ও কলাবতী দেবীর শিষ্য। কনটেম্পোরারির ওপর শিখেছেন ড. মঞ্জুশ্রী চাকী সরকার ও রঞ্জাবতী সরকারের কাছে, যারা ছিলেন ৯০’র দশকে পৃথিবী বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার।

জন্ম কলকাতাতে হলেও সুকল্যাণ বেড়ে উঠেছেন সুদূর কানাডায়। ১৯৯৫ থেকেই বাস করছেন সেখানে। নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ‘সুকল্যাণ ডি অনট্যুরাজ’ যেটা এখন একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নাচের স্টুডিও। নাচ নিয়ে কাজ করছেন আমেরিকা, কানাডা, ভারত ও বাংলাদেশে। নৃত্য পরিচালনা করেছেন তরুণ মজুমদারের ‘আলো’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘হাসন রাজা’ ও সাম্প্রতিক ‘মাটি’সহ কলকাতা ও বম্বের প্রায় ২৬টি ছবিতে।

‘মীরা’ নৃত্যনাট্য নিয়ে কথা হচ্ছিল সুকল্যাণের সঙ্গে। জানালেন, মীরাকে নিয়ে বাংলাদেশে এটাই প্রথম কাজ। মীরা, যিনি ছিলেন যেকোনো ধর্মের ঊর্ধ্বে, মানব ধর্মই ছিল তার কাছে মূল। আমরা মূলত তার উৎস থেকে বিলীন পর্যন্ত গল্পটা বলার চেষ্টা করেছি। একজন সাধিকাকে ঘিরে আবর্তিত এক কাহিনী। শুরু হয় মীরার উৎস থেকে— কোত্থেকে এসেছেন, সেই জায়গা থেকে। মীরা অতীতে কী ছিলেন, বর্তমানে কোথায় আছেন, এসবও উঠে এসেছে।

‘মীরাকে দেখাতে গিয়ে তিনটি নারী চরিত্রের আশ্রয় নিতে হয়েছে— প্রথমে লক্ষ্মী, লক্ষ্মী থেকে রাধা এবং সবশেষে রাধা থেকে মীরা। এই তিন নারীর যে সংগ্রাম, সেটাকে আমরা এমনভাবে তুলে ধরছি যেন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে,’— বলেন সুকল্যাণ ভট্টাচার্য।

হঠাৎ করেই মীরা কেন? সে প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘আমরা বলতে চাই, কৃষ্ণ যদি চাঁদ হন, রাধা তার জ্যোৎস্না। আর কৃষ্ণ যদি বাঁশি হন, মীরা তার সুর। লক্ষ্মী, রাধা, মীরা— তিন জনেরই প্রধান আরাধ্য ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তিন নারীরই এক আকর্ষণ— কৃষ্ণ, মানে কালো বা মধ্যাকর্ষণ বা কসমস।’

‘কাহিনীটা শুরু হয় মূলত লক্ষ্মীনারায়ণ থেকে’, বলেই চলেন এই নৃত্য পরিচালক, ‘যেখানে দেবতারা অত্যাচারী কংসের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে নারায়ণের সাহায্য প্রার্থনা করেন। তখন নারায়ণ তাদের কথা দেন— তিনি শ্রীকৃষ্ণ অবতার হয়ে মর্ত্যে আবর্তিত হবেন। এদিকে, নারায়ণের কথা শুনে লক্ষ্মীদেবীও রাধা হয়ে মর্ত্যে আবর্তিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। এরই ফল আমরা পরবর্তী সময়ে দেখতে পাই রাধা-কৃষ্ণের অমর প্রেম হিসেবে। এর সিংহভাগই হচ্ছে বিরহ গাথা। শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরা চলে গেলে রাধারানি কৃষ্ণের বিরহে বিরহিনী হয়ে আরও শত বছর বেঁচে ছিলেন। এই বিরহিনী রাধার অব্যক্ত রূপই হচ্ছে মীরা। মীরা যখন ছোট, এক বরযাত্রীর দল দেখে তার প্রশ্ন, আমার বর কোথায়? কৃষ্ণমন্দিরের কৃষ্ণের বিগ্রহ দেখিয়ে তাকে বলা হলো, ওই তো তোমার বর। সেই থেকে কৃষ্ণ গেঁথে গেলেন মীরার অন্তরে, ধীরে ধীরে স্থায়ী হয়ে যান।’

সুকল্যাণ বলেন, কৃষ্ণের মোহে মোহাবিষ্ট মীরা তার সাক্ষাৎ পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শুরু হয় তার ভজন লেখা, সুর দেওয়া। এরপর মীরার বিয়ে হয় চিতোরের রাজা রানা সাংগার বড় ছেলে ভোজরাজের সঙ্গে। মীরার কৃষ্ণ ভক্তি দেখে মুগ্ধ হন তিনিও। মীরার জন্য বানিয়ে দেন একটি ছোট্ট মন্দির। কিন্তু একটা সময় দেখা যায়, দিনের প্রায় পুরো সময়ই সেই কৃষ্ণমন্দিরে অতিবাহিত করছেন। বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেননি তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। শুরু হয় লোকনিন্দা। একপর্যায়ে মীরাকে হত্যার পরিকল্পনা করে রানা। বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হয়, কিন্তু প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়ে যায়। সবাই তখন অনুধাবন করেন, নিশ্চয় কোনো আধ্যাত্মিকতা রয়েছে মীরার মাঝে। তার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে ভক্তের সংখ্যা।

সুকল্যাণ বলেন, তৎকালীন মোগল সম্রাট আকবরও মীরার ভজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ছদ্দবেশ ধারণ করে তানসেনকে সঙ্গে নিয়ে মীরার গান শুনতে আসেন। গান শুনে বিভোর হয়ে একপর্যায়ে সম্রাট আকবর তার গলার হার খুলে কৃষ্ণের চরণে দান করেন। তখন সম্রাট আকবরের সঙ্গে মীরার শ্বশুরবাড়ি রক্ষণশীল রানা পরিবারের বিরোধ চরমে। এই ঘটনা তারা মেনে নিলেন না। মীরার ওপর ফের শুরু হলো অত্যাচার। মীরাকে নদীতে ডুবিয়ে সলিল সমাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রানা পরিবার। আর তখনই রানার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন সম্রাট আকবর। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মৃত্যু হয় রানার। মীরা তখন কৃষ্ণের নির্দেশে বৃন্দাবনে বাস করতে থাকেন। সেখানে কৃষ্ণমন্দির নির্মাণ করে শুরু হয় তার কৃষ্ণ ভজন-সাধন। কিন্তু তখন তার কানে চারদিক থেকে শুধু যুদ্ধ-বিবাদে হতাহতের খবর আসতে থাকে। যেটা উনি সহ্য করতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি দেহত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন। একদিন কৃষ্ণমূর্তিকে আলিঙ্গন করে বিলীন হয়ে গেলেন সেই মূর্তিতে। তার দেহ আর খুঁজে পাওয়া গেল না। শুধু তার পরনের এক টুকরো কাপড় কৃষ্ণমূর্তিতে জড়িয়ে আছে, যা এখনও রাজস্থানে আছে। এই পুরো কাহিনীটাই আমরা আমাদের নৃত্যনাট্যে তুলে ধরছি। যার পুরো ভাবনাটাই আমার। আর মূল চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পীরা। মীরার চরিত্রে কাজল ইব্রাহিম, রাধার ভুমিকায় শামীম আরা নীপা, আয়ান ঘোষ ও সম্রাট আকবরের চরিত্রে শিবলী মোহাম্মদ, কৃষ্ণের ভূমিকায় আমি। এছাড়াও থাকছেন নৃত্যাঞ্চলের ২০ জন নৃত্যশিল্পী।’

মীরা চরিত্রে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর মঞ্চে আসছেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী কাজল ইব্রাহিম, নৃত্যজগতে একসময় যিনি কাজল মাহমুদ নামেই পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘদিনের বিরতি ভেঙে আবার মঞ্চে আসা প্রসঙ্গে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর পর আবার নাচের জগতে ফিরছি। শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবাই, বিশেষ করে আমার মা বদরুন্নেসা আব্দুল্লাহ (যিনি একসময় বিটিভির প্রযোজক ছিলেন) চাইছিলেন, আমি আবার নাচ করি। আসলে এ প্রজন্মের শিল্পীরা আমার কাজ সম্পর্কে জানে না। তাই ফিরে আসা। আর আমার সৌভাগ্য যে এসেই একটা চমৎকার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। বিশেষ করে সুকল্যাণ যেভাবে কোরিওগ্রাফি করছে, সেটা অতুলনীয়। নাচের যতগুলো ফর্ম আছে, সবটাই এখানে ব্যবহৃত হয়েছে। আর মীরা পুরোটাই আধ্যাত্মিক একটি চরিত্র, যেটা আমি করছি। ৩৫ বছর পর ফিরে এসে আমি জানি না দর্শকদের প্রত্যাশা কতটুকু পুরণ করতে পারব। তবে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। ভুলভ্রান্তির জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

বাংলাদেশের নৃত্যজগতের অন্যতম নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু শামীম আরা নীপা, যিনি এই নৃত্যনাট্যে রয়েছেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রাধার ভূমিকায়। ‘মীরা’ প্রসঙ্গে তার অনুভূতি, ‘আমাদের মূল ফোকাসটা হচ্ছে সুর ও আধ্যাত্মিকতা। এই অনুভূতি মানুষকে এমন একটা স্তরে পৌঁছে দেয় যেখানে তার সংসার, ধর্ম বা সমাজ বলে কিছুই থাকে না। এ রকমই একটি চরিত্র মীরা, যাকে আমরা সাধিকা রূপেই দেখতে পাই। যিনি সশরীরে কখনও কৃষ্ণের দেখা পাননি। কিন্তু সারাজীবন কৃষ্ণপ্রেমেই মাতোয়ারা ছিলেন। প্রাচুর্য, সম্পদ বা সংসার তাকে কৃষ্ণভক্তি থেকে টলাতে পারেনি। এমন একজন সাধিকাকে নিয়েই আমাদের এই মঞ্চায়ন, যেখানে আমরা ভক্তি ও প্রেমের শক্তিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমি রাধার চরিত্রে আছি। এখানে কোনো চরিত্রই যে খুব বড়, তা নয়। সবগুলো চরিত্র মীরাকে কেন্দ্র করেই। এই নৃত্যনাট্যের পুরো ভাবনা ও নির্দেশনা সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের, যার সঙ্গে নৃত্যাঞ্চলের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অসাধারণ কাজ করে সে। বিশেষ করে গবেষণার কাজটা তার অসম্ভব ভালো। গতানুগতিক একটা কাহিনীকে রূপদান করা, আর কাহিনীর ভেতর থেকে চরিত্রগুলোকে একটু অন্যভাবে রূপদান করা— এটা সবাই পারে না। কিন্তু মীরাতে সুকল্যাণ এই কাজটা খুব গুছিয়ে করেছে। এছাড়াও মীরার চরিত্রে কাজ করছেন কাজল ইব্রাহিম। দীর্ঘ ৩৫ বছর তাকে আবার মঞ্চে দেখা যাবে। আর এই দায়িত্ববোধটা নৃত্যাঞ্চলের। কারণ উনি আমাদের আগের প্রজন্মের অসম্ভব দক্ষ একজন গুণী নৃত্যশিল্পী। কিন্তু উনার কোনো রেকর্ড নেই। এ প্রজন্মের শিল্পীরা তার কাজের পরিচয় পাচ্ছে না। তাই আমরা সেই দায়িত্ববোধ থেকেই তাকে নিয়ে কাজটা করছি।’

আমাদের দেশের আরেকজন প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু শিবলী মোহাম্মদ। সৌন্দর্য আর ছন্দের সমন্বয় যার নৃত্যে। তিনি আছেন আয়ান ঘোষ ও সম্রাট আকবরের চরিত্রে। মীরা সম্পর্কে তার অনুভূতি, আমি যে দু’টো চরিত্রে কাজ করছি, ব্যক্তিগতভাবে দু’টোই আমার প্রিয় চরিত্র। যদিও এ ধরনের অন্য কাজগুলোতে আমি সচরাচর কৃষ্ণ চরিত্রই করে থাকি। কিন্তু মীরাতে আমি একদম সহজ সরল একজন গোয়ালা আয়ান ঘোষের চরিত্রে এবং পাশপাশি একজন মানবতাবাদী সম্রাট আকবরের চরিত্রে কাজ করছি। যিনি ছিলেন একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ। আমি আমার ব্যক্তিজীবনেও বিশ্বাস করি যে মানবধর্মই মূল ধর্ম। আর এ ধরনেরই একটি চরিত্রে রূপদান করতে পারাটা সৌভাগ্যের। যদিও চরিত্রগুলো ছোট, তারপরও দর্শকদের আমাকে জানার সুযোগ হবে। আর এর পুরো কৃতিত্বটাই পরিচালক সুকল্যাণের। পুরো কাজটাতেই উনি মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।’

মীরা নৃত্যনাট্যে অন্যান্য ভূমিকায় – লক্ষ্মী চরিত্রে সহেলি মহাপাত্র, নারায়ণের ভূমিকায় মো: তপন ও কংস ঝোটন সেরাও। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন স্নেহাশীষ মজুমদার, স্ক্রিপ্টে শংকর তালুকদার, সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন অন্বেষা, সানন্দা মুখার্জী, সৌনাক চট্টোপাধ্যায়, নির্মলা রায়, তৃষা পাড়ুই, আনাস্মিতা ঘোষ, অস্মিতা কর, জয় ভট্টাচার্য, অভিক মুখার্জী ও অরিজিত চক্রবর্তী। সহ নৃত্যনির্দেশনা ‍সহেলি মহাপাত্র।

মীরা মঞ্চায়িত হচ্ছে আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি। এখন শুধু অপেক্ষা এক সাধিকার অমর কীর্তি দেখার…

‘জলবিনে কুমুদিনী, চাঁদ বিনে রজনী;
না দেখে তোমারে আমি তারই মত সজনী;
আকুল ব্যাকুল ঘুরি, বিরহিনী প্রাণ চলে যায়;
দেখা দাও; তুমি ছাড়া থাকা বড় দায়।।’

 

সারাবাংলা/এএসজি/এমএম/টিআর


আরও দেখুন :

জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে ছবি বানাতে চাই, প্রযোজক পাচ্ছি না : তৌকির আহমেদ

কাজল ইব্রাহিম কৃষ্ণ নৃত্যনাট্য নৃত্যশিল্পী নৃত্যাঞ্চল বদরুন্নেসা আব্দুল্লাহ মীরা মীরাবাঈ রাধা লক্ষ্মী শামীম আরা নীপা শিবলী মোহাম্মদ সুকল্যাণ ডি অনট্যুরাজ সুকল্যাণ ভট্টাচার্য


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর