হাতে বিশ দিনের মতো সময়। তারপর ১২ এপ্রিল থেকে একযোগে বন্ধ হয়ে যাবে দেশের সবগুলো সিনেমা হল। ১৩ মার্চ রিপোটার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
ভারতীয় ছবি আমদানি এবং একই দিনে দুই দেশে ছবি মুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি ছিল এই সংবাদ সম্মেলনের মূল এজেন্ডা। নইলে বন্ধ করে দেয়া হবে সব হল।
এরমধ্যে পেরিয়ে গেছে কয়েকটি দিন। প্রদর্শক সমিতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কিনা— জানতে যোগাযোগ করা হয় সংগঠনটির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ফোন দেয়া হয়েছিল। তারা শিগগিরই আলোচনায় বসতে চান। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে একটি সভা ছিল। এ বিষয়ে ওখানকার সহকারি সচিবের সঙ্গে কথা বললাম। তাতে যা বুঝলাম, তারা চাপে আছেন। তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে বসবেন বলেছেন।’
আরও পড়ুন : সেন্সর আপিল কমিটি দেখবে ‘শনিবার বিকেল’
এদিকে শোনা যাচ্ছে, সিনেমা হল বন্ধ করে দিলে বিকল্প উপায়ে প্রদর্শিত হবে সিনেমা। এ প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, ‘এটা তাদের ব্যাপার। মানুষ সিনেমা হলেই যায় না, মিলনায়তনে যাবে কোন দুঃখে! বিষয়টি হাস্যকর। তাহলে বুঝুন সিনেমার মান কতোটা নিচে নেমে গেছে যে, বিকল্প উপায়ে দেখাতে হবে! এরপর তো তাহলে নিজেদের সিনেমা নিজেদের বাড়িতে বসে দেখতে হবে।’
যদি আমদানিকৃত সিনেমা ভারতের সঙ্গে মুক্তি দেয়ার পরও না চলে তাহলে কি করবেন? প্রশ্ন শুনে প্রদর্শক সমিতির এই নেতা বলেন, ‘সন্তানের চেহারা কেমন হবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব না। তেমনি ছবি চলবে কি চলবে না, তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না।’
সাফটা চুক্তির আওতায় রপ্তানি করা সিনেমা ভারতের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে নওশাদ বলেন, ‘এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সেখানকার ব্যবসায়ীরা ছবি কিনে যদি না চালায় সেটা তাদের ব্যাপার। এই যেমন আমি, “বিজয়া” কিনে এনে রেখেছি। মুক্তি দেইনি।’
এ সময় তিনি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠগুলোকে কাদা ছোড়াছুড়ি না করার অনুরোধ জানান। এতে করে দেশের সিনেমা হল আরও সংকটের মুখে পড়বে হবে বলে তিনি মনে করেন।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ/পিএম