এফএফএসবি’র স্মারকলিপি যাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে
২৫ মার্চ ২০১৯ ১৬:০৭
ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি) দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র’– এর। গতকাল (২৪ মার্চ) শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুনরায় দাবিটি তোলেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশে এবং বিশ্ব চলচ্চিত্রের সঙ্গে দেশিয় চলচ্চিত্রের মেলবন্ধনে জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্রের বিকল্প নেই। এটি হবে মুক্ত, স্বাধীন চলচ্চিত্র সংস্কৃতিচর্চার অবাধ স্পেস। ‘‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র’’ গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে এমন একটি পরিসর গোড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন : যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের গল্প ‘শিকার’
অনেকদিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সভা’ শিরোনামে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এফএফএসবি। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেসময়ের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন প্রয়াত নায়ক রাজ রাজ্জাক।
আলোচনায় এফএফএসবি’র দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন— জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হবে। শিগগিরই এই বিষয়ে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব। সেই সভার পর দুই বছর পার হয়েছে, কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
সরকারের তথ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বেলায়াত হোসেন বলেন, ‘গত ১৯ মার্চ এফএফএসবি’র একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। মন্ত্রীর হাতে ‘‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র’’ প্রতিষ্ঠার দাবি এবং প্রয়োজনীয়তা লিখিতভাবে তুলে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় তা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী!’
তথ্যমন্ত্রীকে লিখিত দাবি দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও দাবিটি পাঠানোর কথা জানান বেলায়াত হোসেন মামুন। তিনি বলেন, ‘এফএফএসবি’র প্রণীত রূপরেখা সংযুক্ত করে আমাদের স্মারকলিপিটি আগামী ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রদান করা হবে।’
‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র’ ছাড়াও আরেকটি দাবি জানানো হয় এফএফএসবি’র পক্ষ থেকে। সেটি হলো— সরকারের চলচ্চিত্র বিষয়ে সব নীতি–নির্ধারণী কার্যক্রমে ফেডারেশনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বেলায়াত হোসেন বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কমিটি, চলচ্চিত্র অনুদান প্রদানের দুটি কমিটি (পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জুরি কমিটি, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ পরিচালনা পরিষদ, জাতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী কমিটিতে এফএফএসবি’র কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের বয়স ৫৬ বছর অতিক্রম করছে। যার মধ্যে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের বয়স ৪৬ বছর চলছে। কিন্তু চলচ্চিত্র সংসদগুলোর কার্যক্রমে কখনোই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায়নি বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন বেলায়াত হোসেন মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি, চলচ্চিত্র পরিচালক রাজিবুল হোসেন, প্রসুন রহমান ও চলচ্চিত্রকর্মী সিরাজুল ইসলাম খান। লিখিত বক্তব্য ছাড়াও সবাই যার যার নিজস্ব মতামত দিয়েছেন আয়োজনে।
সারাবাংলা/পিএ/আরএসও
আরও পড়ুন :
. প্রকাশ পেলো ‘সার্ভাইভিং ৭১’ এর টিজার
. এসিড ঝলসানো মুখে দীপিকার হাসি
. রোশানের ‘ড্রিমগার্ল’ অধরা
. আসলেই কি ঐশ্বরিয়া…?