Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগের রূপে নিজেকে দেখতে চান মিলা


২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১৯

কণ্ঠশিল্পী মিলার জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলটি অন্য আর দশ দিনের মতো ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে সদা চঞ্চল মিলাকে দেখা গেলো ভিন্ন রূপে। মুখে হাসি নেই,  নেই সেই চিরচেনা চঞ্চলতাও।

বর্তমান বাস্তবতায় সেটাই হয়তো স্বাভাবিক। কারণ মিলা কষ্টে আছেন। তার ব্যক্তিজীবনে চলছে ঝড়। যার কিছুটা তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। আর পুরোটা জানানোর জন্যই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন। যেখানে মিলার জোর আকুতি, তিনি ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে। লক্ষ শ্রোতার সামনে আবারও কাঁপাতে চান মঞ্চ।

বিজ্ঞাপন

ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে থাকার সময়ে ২০১৭ সালে বিয়ে করেন মিয়া। বর পারভেজ সানজারি, পেশায় বৈমানিক। টানা দশ বছর প্রেমকে সেসময় বিয়ের মাধ্যমে পরিণতি দেন তারা। কিন্তু সেই বিয়ে যে বিষাক্ত হয়ে যাবে মাত্র কয়েক মাসে, তা হয়ত জানা ছিলনা কারোরই।

মিলার অভিযোগ, স্বামী সানজারি তাকে নির্যাতন করেন। গায়ে হাত তোলেন। এসব অভিযোগ অবশ্য তিনি প্রায়ই করছেন। মামলাও করেছেন স্বামীর নামে। দিন কয়েক আগে মিলা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় সেসব কথা নতুন করে জানান। আর বিস্তরিত জানান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।

কাঁপা কণ্ঠ আর জল ভরা চোখে মিলা কথা শুরু করেন। বলেন, ‘আমি সাত বছর গান থেকে দূরে ছিলাম। তার জন্য আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা জড়িত। আমি যে বাংলাদেশের একজন শিল্পী, রকস্টার তার পেছনে আমার এই ঘটনা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে গর্ব করতেন। কিন্তু এখন আমার কাছে মনে হয়েছে আমি সেই গর্বের জায়গা, জনপ্রিয়তার জায়গায় নেই।’

কি সেই ঘটনা? মিলা নিজেই জানালেন সবশেষ ঘটে যাওয়া ঘটনা, ‘আমাকে বাড়ি থেকে আবারও বের করে দেওয়া হলো। তার বাসা থেকে বের হয়ে আমি আমার বাবার বাসায় যাই। এরকম সে আমাকে প্রায় সময়ই বের করে দিতো। বের করে দেওয়ার পরও আমি তার বাসায় ফিরে যেতাম। কারণ আমি সবসময় সংসার করতে চেয়েছি। সেদিনও বের করার পর আমি আবার ফিরে যাই। আমি আমার শাশুড়িকে ফোন দেই। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন, তার ছেলে (মিলার স্বামী) এসব পছন্দ করে না, তুমি কেনো তাকে বিরক্ত করো? সারাটা রাত সেদিন আমি বাইরে বসা। কান্নাকাটি করছি। সকালবেলা দেখলাম সে (সানজারি) আর্মি গলফ ক্লাবে গেলো গলফ খেলতে। আমার দিকে ফিরেও তাকালো না।’

বিজ্ঞাপন

স্বামীর এই নির্যাতনের বিচার চান মিলা। সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন। মিলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সাহস এখনো করিনি। আমি জানি না তার পর্যন্ত আমি যেতে পারব কিনা! আমার কষ্টের কথা বলতে পারব কিনা! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি। তার কাছে আমার একটাই চাওয়া, আমি যেনো বিচার পাই।’

সংবাদ সম্মেলনে মিলার বাবা, মা, বোন এবং কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএসও/পিএ

নির্যাতন মিলা সংগীত

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর